ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করছেন জেলা স্তরের নেতৃত্বরা। ব্যান্ডেলে মহিলা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। যে সমস্ত রুট দিয়ে নবজোয়ার কর্মসূচি যাবে সেই সমস্ত রাস্তা পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক অসীমা পাত্র সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা। পাঁচই জুন জাঙ্গিপাড়া থেকে শুরু হবে তাঁর হুগলি সফর।
হুগলি সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুইন জানান, ৫ ই জুন হাওড়া থেকে হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় প্রথম আসবেন অভিষেক। সেখান থেকে ফুরফুরাশরিফ হয়ে শিয়াখালা, মশাট, চন্ডীতলা, বড়া, হয়ে সিঙ্গুরে একটি সভা করবেন। পরদিন অর্থাৎ ৬ তারিখ তারকেশ্বরে মন্দিরে পুজো দিয়ে সেখান থেকে যাবেন খানাকুল গোঘাট ও আরামবাগে।
আগামী ৭ জুন ধনিয়াখালি থেকে শুরু করে পোলবা দাদপুরে রয়েছে তার একাধিক কর্মসূচি সেখান থেকে রোড শো প্রবেশ করবে পান্ডুয়ায়। সেখানে একটি সভা করবেন তিনি। সবার শেষ করে যাবেন বলাগড়ে। সেখানেই রয়েছে অধিবেশন সেখান থেকেই কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দেবেন।
মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি যাতে অন্য জেলা থেকে সেরা হয়, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। বিধায়ক, ব্লক সভাপতি ও বুথ স্তরের নেতাদের নিয়ে চলছে বৈঠক। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যেভাবে এই কর্মসূচিকে সাধারণ মানুষ গ্রহণ করেছে হুগলি জেলায় যাতে আরো বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারে সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবাংলার মধ্যে সেরাটা দেখবেন হুগলি জেলায় বলে মত মন্ত্রী বেচারামের।
হুগলি জেলায় অভিষেকের নবোজোয়ারে মানুষের ঢল নামবে বলে আশা হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনে আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা আসন হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তার আগে এই নব জোয়ার সেই আরামবাগকে ফেরত দিতে পারে সেটাই এখন প্রশ্ন? ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে কতটা দাগ ফেলতে পারবে সে নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে?
হুগলি সংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, “নব জোয়ার করে কোন কাজ হবে না। কারণ হুগলি জেলার মানুষ জানে তৃণমূলের বড় বড় যত চোর সব হুগলিতে। শান্তনু, কুন্তল, অয়ন দুর্নীতিতে যুক্ত। এরা হুগলি জেলাকে কুলুষিত করেছে।”