তাঁর প্রশ্ন, বাসের বডি থেকে থেকে দূষণ ছড়ায় না। তা হলে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন ইঞ্জিন বদল না করে গোটা বাসই বদল করতে বলা হচ্ছে? করোনার সময়ে প্রায় দু’বছর রাস্তায় গাড়ি নামেনি। সে জন্যে গাড়ি বাতিলের সময়সীমা আরও দু’বছর বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি বাস-মালিকরা। একই সঙ্গে টোলট্যাক্স কমানোর জন্যেও সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গাড়িতে ‘ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ বসাতে হবে। অন্যথায় রোজ ৫০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে বাস-মালিকদের। কাল, ১ জুন থেকেই সারা রাজ্যে এই নিয়ম কার্যকরী করা হতে পারে। তার জেরে নতুন করে আর্থিক বোঝা চাপতে চলেছে বাস-মালিকদের ঘাড়ে।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সব বাস ও মিনিবাসে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানো বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। সেই মতো রাজ্যের সব সরকারি এবং বেসরকারি বাসে এই যন্ত্র বসানোর জন্যে অনেক আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য পরিবহণ দপ্তর।
পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের দাবি, অধিকাংশ সরকারি বাসে ইতিমধ্যেই লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বসে গিয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ বেসরকারি বাসে এখনও ওই ডিভাইস বসেনি। তপনের বক্তব্য, ‘এমনিতেই সরকার যাত্রীভাড়া না বাড়ানোয় বাস-মালিকরা প্রচুর লোকসানের মুখে পড়ছেন। এর পর বাসে লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বসাতে গড়ে ছ’থেকে সাত হাজার টাকা খরচ। বাস-মালিকদের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে এই খরচ বহন সম্ভব নয়। এর জন্যে সরকার অনুদান দিক।’