উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট দেওয়ার বিনিময়ে টাকা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই স্কুলে ছুটে আসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠছে।
বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুর দ্বারিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট দেওয়া হচ্ছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, স্কুলের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান অর্থাৎ প্লাটিনাম জুবলি অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা করে দাবি করা হয়। টাকা না দিলে মার্কশিট দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। । ছাত্র-ছাত্রীদের আরও অভিযোগ, এই অনুষ্ঠানের জন্য আগেও ২০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা জমা দেওয়ার কুপন রয়েছেও বলে জানিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা।
পড়ুয়া ও অভিভাবকদর দাবি, একই অনুষ্ঠানের জন্য কেনও একাধিকবার চাঁদা নেওয়া হবে? এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর স্কুল কর্তৃপক্ষ দেয়নি বলে অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের। ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য, গতকাল একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যারা যারা বিদ্যালয়ের প্ল্যাটিনাম জুবলি অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা দিতে ইচ্ছুক তারা ওই টাকা নিয়ে মার্কশিট নেবে। অথচ মার্কশিট নিতে গেলে প্রত্যেককেই ২০০ টাকা দিতে হবে বলে জানানো হয় স্কুলের তরফে।
পরীক্ষার আগে একবার ২০০ টাকা দেওয়ার পরও ফের কেন টাকা দিতে হবে, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা। তাদের আরও বক্তব্য যে, নোটিশে বলা হয়নি যে সবাইকেই টাকা দিতে হবে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা দিচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু সবার আর্থিক অবস্থা তো সমান নয় তাহলে এই নিয়ম সব ছাত্র-ছাত্রীদের উপর কেন চাপিয়ে দেওয়া হল?
এই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত বলেন, ‘বিষয়টা ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে ভুল করেছে। অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে মাথাপিছু ৪০০ টাকা করে নেওয়া হবে। কারও ওপরে জোর করা হয়নি। হয়তো যারা মিটিংয়ে আসতে পারিনি তারা বিষয়টা জানেননা। বিদ্যালয়ের তরফে কাউকে বাধ্য করা হয়নি। যারা টাকা দিতে অপারগ, তাদের মার্কশিট দেওয়া হবে।’