সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে আগামী দিনে জেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলির উপর নজর চালাবেন। পাশাপাশি, সর্বক্ষণের জন্য নজরে রাখা হবে আবহাওয়া দফতরের নির্দেশিকাও। কোথাও কখন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে, কোন নদীর জলস্তর কতোটা রয়েছে, সে ব্যাপারে দৈনিক নজরদারি চলবে বলে জানানো হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার সেচ দফতরের এক অধিকর্তা জানিয়েছেন, ১ জুন থেকেই এ বছর বন্যা মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম চালু করে দেওয়া হল। ২৪ ঘণ্টার জন্য এই কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হবে। আলিপুরদুয়ারের চারিদিকে জড়িয়ে থাকা নদী গুলির গতিবিধির উপর নজর রাখা হবে।
শীতের সময় নদী গুলি গতি হারালেও বর্ষার শুরু থেকেই সেগুলি খরস্রোতা হতে শুরু করে দেয়। সেক্ষেত্রে হঠাৎ কয়েকদিনের মুষল ধারার বৃষ্টিতেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে নদী গুলি। দুকূল ছাপিয়ে প্লাবিত হয় একাধিক এলাকা। ভেসে যায় ঘরবাড়ি, চাষ জমি। গত বছরের জেলার একাধিক জায়গায় সংকট জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
শহরকে ঘিরে রয়েছে কালজানি, ডিমা, নোনাই নদীর উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, নদী বাঁধ গুলিও পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে নিয়মিত। ১ জুন থেকে যেহেতু সরকারি হিসাবে বর্ষার শুরু ধরে নেওয়া হয়, সে কারণেই কন্ট্রোল রুম চালু করে দেওয়া হল বলে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে নদীর জল তলানিতে বইছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতর। তবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত যে কোনও নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় সেচ দফতরের। চলতি বছরে তাই আগাম সতর্কতা।