দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে দেবাংশু লেখেন, ‘গোটা দেশে অনেকগুলো ইভেন্ট ছিল আজ। সবথেকে বড় ইস্যু ছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিজেপির আইটি সেলের পেইড প্রচার। তারা হ্যাসট্যাগ বানিয়েছিল #9YearsOfGaribKalyan। উলটো দিকে এত বড় দেশে মাঝারি মাপের আমাদের রাজ্যের একটি ছোটোজেলার মফস্বল নিয়ে প্রচার করেছিলাম আমরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে নন্দীগ্রামে পৌঁছনোর পর আমরা বললাম #NandigrameJonoJowar।’
দেবাংশু আরও জানিয়েছেন, তৃণমূলের তৈরি করা এই হ্যাশট্যাগ ইতিহাস তৈরি করেছে। তিনি লেখেন, ‘সকলকে হারিয়ে দেশের মধ্যে শীর্ষে ট্রেন্ড করল আমাদের বক্তব্য। হ্যাঁ, দেশের মধ্যে শীর্ষে! এই কর্মসূচিতে সামিল প্রত্যেক সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মী ও সমর্থককে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এভাবেই বারবার আবেগের কাছে হেরে যাক কৃত্রিমতা। এভাবেই বারবার প্রতাপশালী অর্থের শক্তিকে পরাজিত করে জিতুক সম্মিলিত ভালোবাসারা।’
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থেকে ‘নন্দীগ্রাম চলো’ মিছিল শুরু করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে হেঁটে দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নন্দীগ্রামে পৌঁছেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। সেখানে গিয়ে শুভেন্দুকে নিশানা করে ‘মিরজাফর হঠাও’ স্লোগান দেন তৃণমূল নেতা।
অভিষেক বলেন, ‘আমাকে সিবিআই-ইডি দিয়ে অনেক ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আমি এত সহজে ভয় পাই না, যা বলি তা করি। আমি এখন ট্রেলার দেখালাম। বাকিটা তিনমাস পর দেখাব। ২০২১-এ খুঁটিপুজো বাংলায় আমরা করে দিয়েছি। ২০২৪ সালে বিসর্জনটা হবে। আমি বাংলার দাবি আদায় করতে দিল্লি যাব। আমি চাই নন্দীগ্রামের মানুষও আমার সঙ্গে সেখানে যাক।’
অন্যদিকে মিছিলের পালটা মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২০ জুন নন্দীগ্রামে মিছিল করবেন বিরোধী দলনেতা। অভিষেকের নন্দীগ্রামের মিছিল নিয়ে কটাক্ষ করে বুধবার তিনি বলেন, ‘যে কেউ যেখানে খুশি মিছিল করতেই পারে। উনি নন্দীগ্রামে যত বেশি মিছিল করবেন, ভারতীয় জনতা পার্টির ভোটব্যাঙ্ক তত বেশি করে বাংলায় বাড়বে।’