ডাক্তারি পড়ুয়া এক ছাত্রী তার তিনজন প্রশিক্ষক সিনিয়ার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকদের পাল্টা অভিযোগ, ওই ছাত্রী নিয়মিত হাজির থাকতেন না। তাতে তিনি পড়াশোনায় পিছিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জোর করে রেজিস্ট্রার খাতায় উপস্থিতির সই করার জন্য জোরাজুরি করেন। তাতে বাধা দিয়ে বকাঝকা করায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ বলে দাবি।
তরুণীর অভিযোগ পেয়ে এফআইআর করে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি হাসপাতালে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে এই ঘটনায়। ঘটনার পর সাসপেন্ড করা হয়েছে মামলাকারী তিনজনকে। তবে মামলাকারীদের তরফে সাসপেন্সন তুলে নিতে আবেদন করা হয়েছে। তবে ডিন অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার তাদের কোনও ডিউটি দিচ্ছেন না বলে জানায় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ।
প্রসঙ্গত, শ্লীলতাহানির একটি ঘটনায় সম্প্রতি খবরের শিরোনামে আসে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এক মহিলা অভিযোগ জানান, হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষী তাঁর শ্লীলতাহানি করেছে। যদিও সেই ঘটনার জেরে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি পুলিশের কাছে বলে খবর পাওয়া যায়।
এই ঘটনার দুএকদিনের মধ্যেই ফের কলেজে এক ডাক্তারি পড়ুয়া হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ আসতেই নড়েচড়ে বসে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তিন অভিযুক্ত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।
ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করার পরেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিযুক্ত তিনজন চিকিৎসক। গত ২৯ জুন আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আদালত মামলা দাখিলের অনুমতি দেয়। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করলে ওই তিন অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কড়া ব্যবস্থা নেবে না বলে জানান হয়। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।