এই সময়,আলিপুরদুয়ার: তীব্র গরমে বড় লোকসানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গের চা-শিল্পে। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়া অফিস জানাতে পারছে না, ঠিক কবে নাগাদ শুরু হবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। এই পরিস্থিতিতে দফারফা অবস্থা চা-বাগানগুলির। বিগত বছরগুলির তুলনায় তাপপ্রবাহের কারণে চা-শিল্পে প্রায় ৩০ শতাংশ উৎপাদন ঘাটতির আশঙ্কা সামনে এসেছে।

Weather Forecast : কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা, কবে স্বস্তির বৃষ্টি?
প্রাথমিক ভাবে, চা-মহলের তরফে জানা গিয়েছে, কোনও চা-বাগানে ১০ শতাংশ, কোথাও ১৫ শতাংশ, কোথাও আবার ৩০ শতাংশ চায়ের উৎপাদন কম হয়েছে। যার ফলে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে এক শ্রেণির চা-বাগান মালিকদের মধ্যে। এমন অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আরও বেশ কিছুদিন থাকবে বলেই খবর। যার ফলে ডুয়ার্সের পাশাপাশি তরাই এলাকার চা-বাগানগুলিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সার্বিক ভাবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে দু’শোর বেশি চা-বাগান।

Weather Forecast : সকালে চড়া রোদ, বিকেল হতেই ঝড়-বৃষ্টি! আগামী সপ্তাহে ফের হাওয়া বদল?
চা বিশেষজ্ঞ তথা আইটিপিএ সচিব রাম অবতার শর্মা বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বেগে রয়েছি। ৪০ ডিগ্রির উপর তাপমাত্রা চলে যাওয়া মানে গাছ তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারাবে। এর ফলে নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে যতগুলো চা-বাগান আছে, তাদের প্রত্যেকের উৎপাদন কমবে। এই সময় সেচের কোনও প্রয়োজন পড়ে না। তাও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সেচের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে, আমাদের হাতে যে তথ্য রয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-এর তুলনায় ২০২৩-এর মে মাসে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি দুই জেলায় চায়ের উৎপাদন কম হয়েছে।’

Weather Update: আবহাওয়ার ‘মেজাজ গরম’-এ অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ, আজই ৪ জেলায় স্বস্তির বৃষ্টি!
টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর বলেন, ‘তিনটি বিষয় রয়েছে। প্রবল তাপমাত্রায় গাছের পাতা নেতিয়ে পড়ছে, সেই পাতা চা তৈরির অযোগ্য। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় যথেষ্ট পার্থক্য থাকায় গাছের সালোকসংশ্লেষ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া, চা-বাগানে পোকামাকড়ের উপদ্রুব বৃদ্ধি পেয়েছে। কীটনাশকের জন্যও খরচ বেড়ে যাচ্ছে চা-বাগানে।’ সব মিলিয়ে লোকসানের দুঃস্বপ্ন তাড়া করছে উত্তরবঙ্গে চা-বাগানগুলিতে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version