পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে তিনি ইটাহারের পোরষা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার কালোমাটিয়া এলাকায় ঘুরতে যান। সেই সময়ে তীব্র গরমে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পরেন জয়ন্তী দেবী।
তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই মতো তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় জয়ন্তী দেবীর।
মৃতার এক আত্মীয় গৌরব মাল জানিয়েছেন, “জয়ন্তী দেবী আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। এবং আশেপাশে বিভিন্ন আত্মীয় থাকায় সবাই মিলে অপর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। এই তীব্র গরমে রাস্তায় যাওয়ার পথে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই তিনি মারা যান।”
চিকিৎসকের বক্তব্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে সান স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বলে অনুমান করা হচ্ছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যদিও রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি সুপার অভীক মাইতি জানান, “সান স্ট্রোক নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে ময়না তদন্তের পর তা স্পষ্ট হবে।” পাশাপাশি যেভাবে অসহ্য গরম পড়েছে, সেক্ষেত্রে সকলকে শরীর সুস্থ রাখার ব্যাপারে সচেতন করেছেন তিনি।
তবে ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ এলাকা জুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ৭ই জুন পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে চলেছে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই আবহে একাধিক জেলায় আগামী বেশ কয়েকদিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে।
এর মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাও। এছাড়া আগামিকাল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপ্রপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে।