অভিযোগ, জমিদার পাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মী মাঝিকে কয়েকদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পাচ্ছিলেন না। এমনকি বাড়িতেই তাঁর কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের দাঁনা বাঁধে স্থানীয়দের। এরপরেই কোতয়ালি থানার পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
শুক্রবার দুপুরে কোতয়ালি থানার আইসির নেতৃত্বে বিরাট বাহিনী এসে লক্ষ্মী দেবীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এরপর বাড়িতে ঢোকার পরে গন্ধ ছড়ায়। লক্ষ্মী দেবীর সৎ মেয়ে পিঙ্কিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পিঙ্কি জানায়, তার সৎ মা অসুস্থ ছিল। মারা যাবার পর কাউকে না জানিয়েই বাড়ির এক কোণায় পুঁতে দিয়েছে।
পিঙ্কির দেখানো জায়গাতেই পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীম রায় বলেন, “বিরাট একটা অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।” কোতোয়ালি থানার আইসি বলেন, “মাটি খুড়ে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ওই বৃদ্ধার উপর প্রতিদিন অত্যাচার করতো তাঁর সৎ মেয়েরা। মাঝেমধ্যেই বিরোধ লেগে থাকত তাঁদের মধ্যে। গত দুদিন ধরে ওই মহিলার কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি বাড়ির ভেতরেও ওই মহিলাকে দেখতে পাওয়া যায়নি বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরেই সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা চিরঞ্জিত সরকার বলেন, ” মহিলাকে মারধর করা হতো, উনি চিৎকার-চেঁচামিচি করতেন আমরা শুনতে পেতাম। শেষ দুদিন ধরে দেখা যায় না ওই মহিলাকে। এরপর পাড়ার লোকজন থানায় জানিয়ে আসে। আজকে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ওই মহিলার।” ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। নিজের মাকে মেরে এভাবে বাড়ির পাশে জমিতে পুঁতে দেওয়ার ঘটনায় হতবাক সকলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।