তাদের মধ্যে সুমন বসাক, যিনি বনগাঁ শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা, তাঁকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপর যুবক দেবব্রত চৌধুরী, উনিও শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা, তাঁকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় করা হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আমাদের চোখের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে গেল। গরম কাল বলে রাতের দিকে আমরা বাইরেই ছিলাম। এখানে লরিগুলি বেশ দ্রুতগতিতেই যাতায়াত করে। অনেকবার এই বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। ট্রাফিক পুলিশেরও সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।
রাতে বাইকটিও ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বেশ দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। হঠাৎ সামনে একটি লরি চলে আসে। মুখোমুখি হয়ে যাওয়ায় বাইকটি সামনে থেকে সরে যাওয়ার সময়টুকু পায়নি। ধাক্কা লেগে যায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে আহত ২ জনকে উদ্ধার করি। পুলিশ এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শুনলাম একজন প্রাণ হারিয়েছেন”।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। তিনি বলেন, “যিনি মারা গিয়েছেন, তাঁর পরিবারের যাতে আগামী দিনে কোনও সমস্যা না হয়, সেই কারণে আর্থিক সহায়তা করার ব্যবস্থা করছি। আর যিনি গুরুতর আহত তাঁকে আমরা কলকাতা স্থানান্তরিত করার জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছু ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।
এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনকে বলব রাতের বেলা একটু কড়া নজরদারি চালাতে। সেই সঙ্গে যে লরি গুলি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে, তাদেরকে একটি লাইন করে যেন গাড়িগুলি ছাড়া হয়। এছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত যে বাইকগুলি রাতের বেলা চলছে তাদেরকে ধরার ব্যবস্থা করতে বলব”।