Coromandel Express Accident Today : ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গার এক যাত্রী আশিষ রজক। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেন্নাইতে শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছিলেন সারেঙ্গার আশিষ। সেই ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওডিশার বালেশ্বরের কাছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গতকাল রাতে রওনা হয়েছিলেন তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসতে। দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় নয় কিলোমিটার দূর থেকে আশিষকে নিয়ে আজ সকাল প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ সারেঙ্গা পৌঁছন তাঁরা। সারেঙ্গা ফিরে ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন আশিষ। অবশেষে কাটল পরিবারের আতঙ্ক।

Balasore Train Accident : করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার কবলে বাঁকুড়ার ২ ব্যক্তি, উৎকণ্ঠায় পরিবার
আশিষ বলেন, “গতকাল দুপুরে চেন্নাইতে কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে খড়্গপুরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপেছিলাম। আমার সঙ্গে আরও ১২ জন ছিলেন”। তাঁরা বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। সেই ট্রেন গতকাল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাতে চোট পান সারেঙ্গার আশিষ।

Coromandel Express Accident News: ‘হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি তারপর…!’ ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শোনালেন ক্যানিং-এর দম্পতি
এই বিষয়ে তিনি বলেন, “হঠাৎই ট্রেনের ঝাঁকুনি অনুভব করলাম। সেই সময় আমি আমার বার্থে শুয়ে ছিলাম। তারপর ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ি। মুহূর্তের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরতেই চোখের সামনে দেখি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ছবি। এরপর কোনওমতে আমার ভাইকে ফোনে জানাই দুর্ঘটনার কথা”।

Balasore Train Accident : ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দিনহাটার যুবক! বন্ধ ফোন, আতঙ্কে কাঁপছে পরিবার
একথা বাড়িতে জানতেই একরাশ আতঙ্ক গ্রাস করে পরিবারকে। গতকাল সন্ধ্যাতেই ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে রওনা হন আশিষের বাবা এবং পরিবারের সদস্যরা। এরপর দুর্ঘটনা স্থল থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে দেখা হয় ছেলের সঙ্গে। আতঙ্ক দূর হয় পরিবারের।

Coromandel Express Accident : ট্রেন কখন ছাড়বে? করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর হাওড়ায় যাত্রীদের থিকথিকে ভিড়
আজ সকাল প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ ছেলেকে নিয়ে সারেঙ্গা পৌঁছন আশিষের বাবা বামাপদ রজক। আশিষ জানান, “দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা যথাসম্ভব আমাদের সহযোগিতা করেছেন। স্থানীয়দের সাহায্যে দুর্ঘটনাস্থল কোনওরকমে বেরিয়ে আসি”।

Vande Bharat Cancelled: করমণ্ডল দুর্ঘটনার জের, শনিতে প্রভাব হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত চলাচলে
তবে দেখা আতঙ্ক যেন ভুলতে পারছেন না তিনি। আশিষ জানালেন তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। সেই সঙ্গে আরও জানান, “বরাবরই বাইরে কাজ করতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কারণ দক্ষিন ভারতে টাকা বেশি পাওয়া যায়।

Coromandel Express Derailment : কাজের জন্য চেন্নাই পাড়ি, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মালদার যুবকের
কিন্তু যে ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হলাম, তাতে বাইরে যাওয়ার বিষয়ে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়াল। এরপর আবার কবে কাজের জন্য বাইরে যেতে পারব, বা আদৌ যেতে পারব কিনা বুঝতে পারছি না”। আজ সকালে আশিষের বাড়িতে পৌঁছন সারেঙ্গা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরা পাশে থাকার আশ্বাস দেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version