এই তিনজন ছাড়াও এই বাসন্তীর ছরানেখালি গ্রামের আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম বিকাশ হালদার, সঞ্জয় হালদার। গতকাল সকাল ন’টায় সবাই বাড়ি থেকে বের হন। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাসন্তী ও গোসাবা এলাকার আরও বহু মানুষ জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সংখ্যাটি শতাধিক বলেই জানা যাচ্ছে।
গায়েন পরিবারের কোনও সদস্যই এই মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। ওই পরিবারের এক প্রতিবেশী এই বিষয়ে জানান, “গতকাল রাতে যখন ওই ট্রেন দুর্ঘটনার খবর এল, তখন থেকেই আমরা সবাই আশঙ্কায় ছিলাম। আর যা আশঙ্কা করেছিলাম, আজ সকালে ঠিক সেই খবরই এল। তিন ভাইয়ের কেউই এই মুহূর্তে বেঁচে নেই। দুর্ঘটনাস্থল থেকে এই খবরই পাওয়া গিয়েছে”।
ওই প্রতিবেশী আরও জানান, “পরিবারের তিন পুরুষ সদস্য, তিনজনেই একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল। এবার ওই পরিবারের কি হবে তা ভেবেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। দেখার মতো আর কেউ রইল না”। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে তা নিয়ে কোনও ধারণা নেই।
জোর কদমে চলছে উদ্ধার কাজ। শুক্রবার সন্ধ্যা প্রায় ৭টা নাগাদ ঘটে ওডিশার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ট্রেন। একাধিক বগি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। তবে এই দুর্ঘটনার আসল কারণ কী, কার গাফিলতিতে ঘটেছে এই এই ঘটনা, এই বিষয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
কিন্তু কোনও তদন্ত, কোনও ক্ষতিপূরণই বাসন্তীর এই গায়েন পরিবারকে তিন ছেলেকে হারানোর শোক ভোলাতে পারবে না বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা। পেটের তাগিদে নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজের জন্য যেতে গিয়ে আর কত মানুষকে প্রাণ হারাতে হবে, সেই প্রশ্নই তুলছেন মানুষ।