জানা গিয়েছে, এ ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই ব্যক্তি একজন শিক্ষক। অভিযোগ, তিনি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বে জড়িয়ে পড়েন নিজের ছাত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে। সেই নিয়ে তুঙ্গে ওঠে শোরগোল। জানা যায়, গ্রামে সালিশি সভা বসে। তাতে ওই শিক্ষককে আট লাখ টাকা জরিমানার নিদান দেওয়া হয়। তাতেও রেহাই নেই। গাছের সঙ্গে হাত পা বেঁধে চলে বেধড়ক মারধর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জানায়ায় শ্রীরামপুর গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কেশপুর থানার নেড়াদেউলের এক স্কুল শিক্ষক ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে জানা যায় ওই শিক্ষক বিবাহিত। কয়েক দিন আগে শিক্ষক শ্রীরামপুরে ওই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসে। তখনই শিক্ষককে ধরে ফলে মেয়ের বাড়ির পরিবারের সদস্যরা, তারপরই চলে নৃশংস ভাবে মারধর। বসে সালিশি সভা। সালিশি সভাতে নিদান দেওয়া হয় ৮ লাখ টাকা দিতে হবে। তারপরেও এলোপাথাড়ি মারধর যে ছবি দেখলে শিউরে উঠতে হবে।
এই ঘটনায় আহত হয়ে, প্রেমিক তথা শিক্ষক, আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ভয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না কেউ, কিন্তু কিসের ভয়, অনেকেই বলছেন এই ঘটনা সঙ্গে জড়িত রয়েছে শাসকদলের স্থানীয় কিছু নেতা, ও গ্রামের বেশ কিছু মাতব্বর, যাদের ভয়ে অথষ্ঠ হয়ে তাকে এলাকাবাসী। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনে কিছু করছে না কেন? উঠছে প্রশ্ন। যদি চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও কেউ লিখিত অভিযোগই দায়ের করেনি।