সোমবার সাত সকালে নগেন ও তাঁর দাদা জমিতে কৃষি কাজ করতে যান। গোরু সহ জমিতে হাল দিতে গিয়েছিলেন নগেন রায়। এদিকে, কিছু দিন থেকেই উত্তরবঙ্গে তীব্র দাবদাহ চলছে৷ এর মধ্যেই আজ ময়নাগুড়িতে সকালে বৃষ্টি সহ বজ্রপাত হয়৷ বৃষ্টির মধ্যেই জমিতে নগেন রায় গবাদি পশুকে নিয়ে তাঁর জমিতে কৃষি কাজ করছিলেন।
সেই সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় নগেন রায় ও তাঁর গবাদি পশুর। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন নগেনের দাদা জয়ন্ত রায়। বাজের আওয়াজের শুনে জয়ন্ত রায় তাকিয়ে দেখেন তাঁর ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা৷ নগেন রায় কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা নগেন রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর পরেই ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধওলাগুড়ি গ্রামে। মৃতের দাদা জয়ন্ত রায় বলেন, “চোখের সামনে ভাইকে মারা যেতে দেখলাম।
কিন্তু কিছুই করতে পারলাম না। রোজ সকালেই আমরা চাষের কাজে মাঠে আসি। প্রত্যেকদিন সকাল থেকেই চড়া রোদ থাকে। আজ রোদ থাকলেও হঠাৎ করে বৃষ্টি নেমেছিল। এই গরমের মধ্যে বৃষ্টি পড়ায় খানিকটা স্বস্তিতেই মাঠে কাজ করছিলাম।
কিন্তু হঠাৎ করে যে বাজ পড়ে যাবে তা কি করেই বা জানবো”। এর আগেও ময়নাগুড়ি এলাকায় এপ্রিল মাসে কালবৈশাখীর ঝড়ের সময় বাজ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঝড়ের সময় তিনি আম কুড়োতে বেরিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আর সেই সময়েই বাজ পড়ে, তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।