বাইরে বোর্ড টাঙানো ‘পে অ্যান্ড ইউজ’ শৌচালয়ের। যে কোনও ব্যক্তির জোরে বেগ এলে ছুট লাগাতেই পারেন ওই কক্ষের দিকে। কিন্তু সামনে গিয়েই অবাক হতে হয়। শৌচালয় নাকি জামা কাপড়ের দোকান বুঝে ওঠা দায়। এমনই ঘটনা কালনা হাসপাতালের ভেতর।

BJP MP : &amp#39;১০০ দিনের টাকা কই?&amp#39; আহতদের দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি সাংসদ
কালনা মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভেতর রয়েছে জনসাধারণের জন্য শৌচালয়। কিন্তু তার মধ্যে চলছে রমরমিয়ে কাপড়-জামার ব্যবসা। আর মহিলা বাথরুমের পাশের জনসাধারণের বিশ্রাম ঘরে রাখা রয়েছে সাইকেল মোটর সাইকেল। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এরকম কাণ্ড। জনসাধারণের জন্য নির্মিত শৌচালয় হয়ে উঠেছে বস্ত্রালয়।

Purba Bardhaman : &amp#39;লাশের সারির উপর দিয়ে বেরোলাম…&amp#39;, রুদ্ধগলায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ভাগ বর্ধমানের ৪ যাত্রীর
সপ্তাহের প্রথম দিনের সোমবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিজের সাংসদ তহবিলের অর্থ দিয়ে নির্মিত শৌচালয়ের এমন চেহারা দেখে রেগে আগুন সংসদ সুনীল মণ্ডল। সেখানে দায়িত্বে থাকা এক কর্মীকে ধমক দিতে দেখা যায় সুনীল মণ্ডলকে। অবিলম্বে এই সমস্ত কিছু সরিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে কালনার রংপাড়ার বাসিন্দা গোকুল মণ্ডল এই শৌচালয় তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, সুশান্ত মজুমদার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি সরকারি টেন্ডারের ভিত্তিতে এই শৌচালয় দায়িত্ব পেয়েছিলেন। শৌচালয় এরকম ভাবে হাত বদল হয়ে যাওয়ায় উঠেছে প্রশ্ন।

Purba Bardhaman News : হঠাৎ ফুলে উঠে তীব্র শব্দে ফেটে গেল রাস্তা! অবাক কাণ্ড ভাতারের গ্রামে

অভিযুক্ত গোকুল মণ্ডলের দাবি, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই ঘর দুটি তাঁকেভাড়া দিয়েছে সুশান্ত মজুমদার। কিন্তু সরকারি জায়গার টেন্ডার পেয়ে তাও পয়সার বিনিময় বিক্রির অভিযোগ সামনে আসতেই, উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অভিযুক্ত আরও জানান, তাঁর কোনও কর্মসংস্থান নেই। সেই কারণে বাধ্য হয়ে তিনি ওই শৈচালয়ে ব্যবসা খুলে বসেছেন। এ প্রসঙ্গে সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, “এইরকম কেউই করতে পারেন না। অবিলম্বে যে টেন্ডার পেয়েছিল তার টেন্ডার ক্যানসেল করে, নতুন দুটি ছেলেকে নিয়োগ করা হবে।” তারা যেন ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেয় জনসাধারণের জন্য সেটিও দেখা হবে বলে, আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Road With Plastic Waste : এমন রাস্তা আগে দেখিনি…

তবে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে আসা স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এটা এখানে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে দেখেছি। হাসপাতালে এত লোকজন আসেন। তাদের জন্য একটি শৌচালয় তো অবশ্যই দরকার। তার মাকে এরকম ব্যবসা খুলে বসলে কী করে হবে?”
তবে এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান হয়। যত দ্রুত সম্ভব শৌচালয় চালু করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়।হাসপাতালের শৌচালয় বদলে গিয়েছে বস্ত্রালয়, কালনা হাসপাতালের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংসদ সুনীল মণ্ডল



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version