রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার রাজ্যের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে নোটিশ পাঠাল ED। জানা গিয়েছে, ১৯ জুন দিল্লিতে ED-র কার্যালয়ে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে এই তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, কয়লাপাচার মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর একবার মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ED আধিকারিকদের একাংশের দাবি, এর আগে বারবার হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে।

Bengal Coal Scam Case : রুজিরার বিদেশযাত্রায় বাধা! বিমানবন্দরে আটকানো হল অভিষেকের স্ত্রীকে
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আসানসোলে মলয় ঘটকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল CBI। সেই সময় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তল্লাশির পর মলয় ঘটকের স্ত্রী বলেছিলেন, “ওরা যা যা জানতে চেয়েছিল সবই বলা হয়েছে।” পাশাপাশি CBI আধিকারিকদের ব্যবহার নিয়েও মুগ্ধতার সুর শোনা গিয়েছিল তাঁর কণ্ঠে।

চলতি বছর মার্চ মাসে তিনি ED-র নোটিশ পাঠানো নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। রাজ্যের এই মন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি ED-কে চিঠি দিয়েছেন। যদিও তাঁর শরীর খারাপ বলে কাউকে কিছু পাঠাননি বলে জানান। এদিকে মলয় ঘটককে তলব করা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।

Rujira Banerjee : অভিষেক পত্নী রুজিরাকে তলব ED-র, চলতি সপ্তাহেই হাজিরার নির্দেশ
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যের ঘটনায় কেন বাংলাতেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হল না!” কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা BJP সরকারকেউ প্রকারান্তে বিঁধেছেন তিনি। অন্যদিকে, BJP নেতা রাহুল সিনহার পালটা আক্রমণ, “ওঁকে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল। কারও যদি লোকানোর কিছু না থাকে তাহলে তিনি কেন হাজিরা এড়াবেন?”

মলয় ঘটকের বাড়িতে CBI, প্রতিবাদে তৃণমূল

উল্লেখযোগ্যভাবে, এদিনই ED নোটিশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেও। আগামী ৮ জুন তাঁকে স্বশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার সকালে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা বিমানবন্দরে বাধার মুখে পড়ন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, দুই সন্তান সহ দুবাইগামী বিমানে তাঁকে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর তিনি অভিবাসন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও বলেন।

Partha Chatterjee News : ‘মাস্টারমাইন্ড পার্থই’, অর্পিতার দাবি নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর?
কিন্তু, কিছুক্ষণ পরে বিমানবন্দরে রেজিস্টারে সই করে বেরিয়ে আসেন। এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই মর্মে বিরোধীদের একাংশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দেন। যদিও এই যাবতীয় দাবি ভিত্তিহীন বলে দাবি BJP নেতাদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version