দলের একটি সূত্রে খবর, জুনের মাঝামাঝি সময়েই ঘাটালে আসবেন তারকা সাংসদ। এখনও দিন চূড়ান্ত হয়নি। ঘাটালে এসে এবার বুথ ধরে ধরে সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে বলেও দলের একটি সূত্রের দাবি।
জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি এই সময় ডিজিটাল-কে বলেছেন, ‘ এবার থেকে দেব সাংগঠনিক বিষয়ে কিছুটা সময় দেবে সেটাই আমরা জানি। এতে তো ভালোই হবে। এর বেশি সংবাদমাধ্যমে কিছু বলার নেই।’
২০১৪ সালে প্রথমবার ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব। যদিও নিজের গ্রাম কেশপুরের মহিষদার বুথেই হেরেছিলেন ‘রাজু’। ২০১৬ সালে কেশপুরে তৃণমূল রেকর্ড ভোট পেয়ে জিতলেও দেবের গ্রাম মহিষদায় ফের হার হয়েছিল ২০১৯ সালেও ভারতী ঘোষকে বিপুল ভোটে হারায় দেব।
প্রসঙ্গত, ঘাটালে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। নব জোয়ার কর্মসূচিতেও শালবনির সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ঘাটালে সমস্যা আছে। ঘাটাল কে দেখছেন?’ অভিষেকও পরে ঘাটাল ব্লক সভাপতিকে সব পক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জেলা নেতৃত্বও মানছেন, গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই বিধানসভায় ঘাটাল আসনে হার হয়েছে তৃণমূলের। সেই জায়গায় দলের এমন সিদ্ধান্ত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা ধরলে কেশপুর-দাসপুরেও রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সমস্যা। যদিও সব এলাকার সংগঠনই দেব পুরোপুরি দেখবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, সাংসদ দীপক অধিকারী ঘাটাল সাংগঠনিক ক্ষেত্রে সরাসরি যুক্ত না হলেও ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের সঙ্গে সাংসদ অনুগামীদের ঠান্ডা লড়াই দীর্ঘদিনের। যদিও শঙ্কর আর বিধায়ক নন। দাপটও কমেছে। সম্প্রতি তিনি তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে দেবের সংগঠনে ঢোকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।