মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড নিয়ে রেশন তোলা হয়েছে দীর্ঘসময়। গুরুতর অভিযোগ ছিল রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। অথচ সেই ডিলারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেননি জেলা শাসক। বুধবার এই ঘটনায় জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট।

Kolkata Traffic Police : ট্রাফিক পুলিশের সুরক্ষায় ৫ লাখের ফুল মাস্ক হেলমেট
জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জেলাশাসককে ভর্ৎসনা করেন এই ঘটনায়। এমনকি অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন ওঠে। সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কী ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা আগামী ৩ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ তথ্য আদালতে পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসককে।

Rain In Kolkata : কলকাতায় ক্ষণিকের স্বস্তি, কতক্ষণ চলবে বৃষ্টিপাত? জবাব হাওয়া অফিসের
প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, ” এটি একটি সামাজিক অপরাধ। মৃতের কার্ডে রেশন তুলে কী করে বাজারে বিক্রি করে!” যতগুলি কার্ড নিয়ে এরকম করা হোক না কেন, সেটা সমান অপরাধ বলে তিনি দাবি করেন। জানান হয়, ৭৩ বা ৩১ টা কার্ড যাই হোক না কেন সেটা সমান অপরাধ।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “ডি এম ক্যাজুয়াল মনোভাব দেখাচ্ছেন আদালতে হাজিরা দেওয়ার পরেও। দোষ পাওয়া গেলো আর সাসপেন্ড করা হলো। সেটা কোনো শাস্তি নয়। কেন আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?”

Kolkata Airport News : কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক, যাত্রীর চিল চিৎকারে হুলস্থুল
অভিযোগ, রেশন ডিলার মৃত ৭৩ জনের কার্ডে মাল তুলে খোলা বাজারে বিক্রি করতো। এমনই অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমন গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্বেও তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ কেন করা হয়নি? জেলা শাসককে হাজিরা দিতে হয় ২০২০ সালে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সেই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ফৌজদারি অপরাধের মামলা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত বলে জানান হয়।
কিন্তু এরপরেও মাত্র ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে পদক্ষেপ করা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী বুধবার নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী শুক্রবার জেলা শাসক ওই ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করবেন।

Kolkata Traffic Update: সপ্তাহের শুরুতে ট্রাফিকের হালচাল

নদিয়ার শান্তিপুরের গয়েশ পুরের আমরাতলা, আমিরুল ইসলাম মণ্ডল অভিযুক্ত রেশন ডিলার। তার বিরুদ্ধে ৭৩ জনের রেশন কার্ড নিয়ে কারচুপি করার অভিযোগ ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন এক স্থানীয় ব্যক্তি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version