করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ফাঁড়া যেন কাটতেই চাইছে না। শুক্রবার হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পর সন্ধে ৭টা নাগাদ ওডিশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল। সেই । পাঁচদিনের মাথায় এদিন যাত্রা শুরুর পর ফের বিপত্তির মুখে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

সূত্রের খবর, এদিন বেলা ৩টে ২৫ মিনিট নাগাদ শালিমার থেকে যাত্রা শুরুর পর সাঁতরাগাছি পৌঁছতেই খারাপ হয়ে যায় আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এসি। যাত্রীরা জানিয়েছেন, এদিন করমণ্ডল এক্সপ্রেস চালুর সময়ও বাতানুকুল কামরার এসি বন্ধ ছিল। কিছুক্ষণ পর এসি চলা শুরু হলেও সাঁতরাগাছি স্টেশনে এসে তা বন্ধ হয়ে যায়।

Coromandel Express : ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি নিয়েই ফের গড়াল চাকা, ৫ দিন পর শালিমার থেকে যাত্রা করমণ্ডলের
যাত্রীরা জানিয়েছেন, সাঁতরাগাছি স্টেশনে পৌছনোর পরই বি১, বি২ ও বি৩ কামরা এসি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সাঁতরাগাছিতেই দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। কিছুক্ষণ পর বি১ ও বি২ কামরার এসি স্বাভাবিকভাবে চললেও বি৩ কামরার এসি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এই তীব্র গরমে এসি বন্ধ হয়ে যাওযায় সমস্যার মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। চারদিক বন্ধ কামরায় গরমে তাঁদে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়।

দুর্ঘটনায় এতজনের প্রাণহানি হওয়ার পর এদিন করমণ্ডলে ওঠা যাত্রীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। হঠাৎ করেই ট্রেন সাঁতরাগাছিতে থেমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন যাত্রীরা। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের থেকে বিষয়টি শুনেছি। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Coromandel Express : বিভীষিকার রেশ নিয়েই গড়াল করমণ্ডলের চাকা, বাহানাগা ঢুকতেই যাত্রীদের চোখে-মুখে আতঙ্ক
করমণ্ডলে থাকা বাংলার যেসব যাত্রীরা প্রাণ হারিয়েছেন বা যাঁদের আহত হয়েছেন, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাদের হাতে এদিন ক্ষতিপূরণ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তাদের হাতে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। সবরকমভাবে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Train Cancelled: বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার জের, হাওড়া থেকে বাতিল পুরীগামী একাধিক ট্রেন
দুর্ঘটনার পর দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে রেলের উপর বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি মৃতদের পাঁচ লাখ ও আহতদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বেঘোরে প্রাণ গিয়েছে ২৮৮ জনের। আহতদের সংখ্যা প্রায় ১১০০। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল তা জানতে ইতিমধ্যেই সিবিআইযের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিন এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে কোন তত্ত্ব উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version