সুতপা সেন: ‘ফোন করে যার যা অসুবিধা, সেটা আমাকে জানাতে পারবেন’। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবার ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। কর্মসূচির সূচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘নম্বরটা হল, ৯১৩৭০৯১৩৭০। সোমবার থেকে শনিবার প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই লাইন খোলা থাকবে’।
শিয়রে এবার পঞ্চায়েত ভোট। চলতি বছরের শুরুতে জনসংযোগে নয়া কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল। নাম, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। এই কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ গ্রামে গ্রামে গিয়েছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক ও নেতারা। সঙ্গে ‘দুয়ারে সরকার’ আর ‘পাড়ায় সমাধান’।
আরও পড়ুন: Rujira Banerjee: তৈরি ‘টাফ’ প্রশ্নমালা! অভিষেক জায়া রুজিরাকে জেরা করতে দিল্লি থেকে ইডির বিশেষ দল
এদিকে পঞ্চায়েত ভোট কাকে প্রার্থী হিসেবে চান? সাধারণ মানুষের মতামত জানতে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত ‘জনসংযোগ যাত্রা’ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসূচির নাম, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। সেই কর্মসূচির মাঝেই এবার শুরু হল ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। এদিন নবান্ন সভাঘর এই কর্মসূচি সূচনা করলেন মমতা নিজেই।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে আমাদের আরও পরিষেবা যাতে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, এ নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় সমাধান, দুয়ারে সরকার। যেগুলি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমার রিভিউ করতে করতে জেলায় ৫৫০ টা মিটিং করার পর, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, অনেক সময় কাজগুলি নিচুস্তরে পড়ে থাকে। এবং সমস্যার সমাধান হয় না। যেগুলি একটু চেষ্টা করলেই হতে পারে। আগে পার্টি থেকে দিদিকে বলো বলে একটা করেছিলাম। ওই ধরণেরই, এটা পলিটিক্যাল নয়, এটা সরকারের সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নামে। একটা নতুন প্রোগ্রাম। বাংলার মানুষ সরাসরি ফোন করে যার যা অসুবিধা, সেটা আমাকে জানাতে পারবেন’।
বিভিন্ন দফতরের সচিবদের মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশ,’যারা সচিবরা আছে, শুধু সমস্যা পেয়েছি, আর বললাম, এটা করলে কিন্তু চলবে না। কোনও আবেদন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য় পাঠানো হল, নিচের দিকে সেই আবেদন পাঠিয়ে দিলেই আপনার দায়িত্ব শেষ হবে না। নিচের দিকে অনেকেই চেষ্টা করে ফাইলটা ফেলে রাখার। আপনাদের একটু নজর রাখতে হবে। সমাধান সুনিশ্চিত করতে হবে। যেমন আপদকালীন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি, বা আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুখ্যসচিবকে বলব’। সঙ্গে বার্তা, ‘হয়তো সরকার সবটা করতে পারে না, সবটা হাতেও থাকে না। কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কী আছে’!