এর পরেই দোকানের ম্যানেজার সঞ্জিতকে ফোন করে জানান দোকানের ভিতরে আগুন লেগেছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন আশেপাশের ব্যবসাদাররা। তবে ওই এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে, সময়ে দমকল কর্মীরা না আসলে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় দমকল আধিকারিক পবিত্র কুমার নন্দী বলেন, “আমাদের প্রাথমিক অনুমান অসতর্কতার ফলেই ওই জায়গায় আগুন লেগেছে। ফলের গুদামটি যেখানে রয়েছে তার আশেপাশে অনেক দাহ্য বস্তু পড়েছিল। কোথাও শুকনো পাতা কোথাও বা থার্মোকল এই সমস্ত কিছু থাকার কারণে কোনোরকম ভাবে অসতর্কতা বসত আগুন লেগে যায়”।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছাই তখন আগুন দাউদাউ করে জ্বলছিল। আমাদের কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টার পরে আগুন নেভাতে আমরা সক্ষম হই”। এদিকে, গোটা ঘটনায় মাথায় হাত দোকান মালিকের।
এই বিষয়ে দোকান মালিক সঞ্জীব ঘোষ তিনি বলেন, “আজকের দিনে আদিবাসীদের বনধ থাকার দরুন গোডাউন থেকে মাল বেরোয়নি। সমস্ত মাল মজুদ করা ছিল। আম, লেবু, আপেল,তরমুজ সব মিলিয়ে মোট আনুমানিক ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকার ফল মজুদ করা ছিল আমার গোডাউনে।
আমি বাড়ি গিয়েছিলাম, হঠাৎই আমার কাছে খবর আসে আমার গোডাউনে আগুন লেগে গিয়েছে”। কিভাবে আগুন লাগল নাকি কেউ ইচ্ছা করে তার সঙ্গে এই রকম করল সে বিষয়ে কিছুই জানেন না সঞ্জীববাবু। যদিও নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। কিন্তু কারোর ওপর সন্দেহ প্রকাশও করতে পারছেন না। এই ঘটনার জেরে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে বলেন, “এখনও কিছুই ঠিক করিনি”।