কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের সূচি মেনে এদিন তিনি দলের কয়েক জন প্রার্থীকে নিয়ে কোতুলপুর বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। কিন্তু মনোনয়নপত্র না পেয়ে ফিরে আসার সময় বিডিও অফিস চত্বরে পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূল কর্মীরা ‘চোর-চোর’ স্লোগান, ‘হেনস্থা’র পাশাপাশি তাঁর গাড়িতেও আক্রমণের চেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এই অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা দাবি করে তিনি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানান।
অন্যদিকে, কোতুলপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুরজিৎ রায়ের দাবি ঐ ঘটনায় তাঁদের দলের কেউ যুক্ত নয়। স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে এলাকায় তিনি কোন কাজ করেননি, তাই তাঁকে দেখতে পেয়ে ‘স্থানীয় মানুষ ছুটে গিয়েছে’ বলে তিনি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকেও। BDO অফিসের সামনে বিক্ষোভে বসেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অভিযোগ, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লকে মনোনয়ন দাখিলের জন্য যে ডিসিআর কাটাতে হয় তার আবেদন পত্র অমিল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পেপার না মেলায় বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি তথা বিষ্ণুপুর লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর নেতৃত্বে বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লক অফিসে চলে বিক্ষোভ।
জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে অভিযোগ ও অশান্তির পরিস্থিতি দেখে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ ডঃ সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, আচমকা পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করে শাসক দল নিজেরাই বিপদে পড়েছে । শুধু বিজেপি না মনোনয়ন দাখিলের পেপার না মেলায় বিক্ষোভ দেখায় বামেরাও।