বাংলা বছরের শুরু থেকেই ‘আবহাওয়া’ খারাপ বাঁকুড়ার। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাঢ়বঙ্গের জেলা বাঁকুড়া। মাঝে সামান্য বৃষ্টির দেখা মিললেও জুন মাসের শুরু থেকে এখনও বৃষ্টির দেখা নেই বাঁকুড়ায়। পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য জেলা গুলির মতো বাঁকুড়ার মানুষও তীব্র গরমের দাপটে নাজেহাল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘লু’ বইতে শুরু করছে গোটা জেলাজুড়ে। রাস্তাঘাট প্রায় শুনশান। কেবলমাত্র ঠান্ডা পানীয়ের দোকানে দেখা মিলছে মানুষ জনের।

স্থানীয়দের বাসিন্দাদের দাবি, খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বেরোচ্ছেন না। এই মুহূর্তে জুন মাসের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। তার উপর দফায় দফায় চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। লোডশেডিংয়ে নাজেহাল বঙ্গবাসী। প্রাণ যায় যায় অবস্থা বাঁকুড়াবাসী।

Heatwave Alert West Bengal: তীব্র দাবদাহে নাজেহাল রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলি, কবে নামবে বৃষ্টি বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রামে?
শনিবার বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিুপর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী পাঁচদিন অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ জুন অবধি বাঁকুড়া শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

বাঁকুড়ার প্রবীণ নাগরীকেরাও দীর্ঘ কয়েক বছরে নতুন বছরের শুরুতে এই ধরণের তাপপ্রবাহের সাক্ষী থেকেছেন কিনা মনে করতে পারছেননা। বিদ্যুৎ দত্ত নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘গত ২৫ বছরে এই অবস্থার সম্মুখীন হইনি, যা অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যাব। আমাদের মতো বয়স্কদের পক্ষে বাড়িতে থাকা খুবই কষ্টকর। কবে যে এই গরমের হাত থেকে নিস্তার পাব জানি না।’

Bardhaman Weather : কলকাতায় একপশলা বৃষ্টি, কবে সুখবর পাবে দুই বর্ধমানবাসী?
শুভ্রকান্তি কর্মকার নামে আরও এক বাঁকুড়াবাসী বলেন, ‘সকাল থেকে রোদের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে বেঁচে থাকা দায়। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে, কেরালায় এখনো বর্ষা ঢোকেনি, দক্ষিণ কবে প্রবেশ করবে সেবিষয়টিও এখনো নিশ্চিত নয়, ফলে চলতি মরশুমে সমস্যা বেড়েই চলেছে।’

Dinajpur Weather: গরমে পুড়ছে দুই দিনাজপুর, কবে মিলবে স্বস্তির বৃষ্টি?
বিকাশ মুদি নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘গুমট রমে নাজেহাল অবস্থা। তার উপর লোডসেডিং। একবার করে মেঘ হচ্ছে আবার রোদ। এখন একটু বৃষ্টি হলে স্বস্তি মিলবে। এখন কবে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে বলতে পারব না। খুব কষ্ট হচ্ছে এভাবে থাকতে। ঈশ্বর কবে যে আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকাবেন জানি না। এই প্রখর রোদে কোনও কারণেই বাইরে বেরনো যাচ্ছে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version