কিন্তু, উল্লেখযোগ্যভাবে দুই-তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এই কমপ্লেন বাক্সগুলিতে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি, দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর এমনটাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের কথায়, “আমরা প্রতিনিয়ত অভিযোগ বাক্সগুলির উপর নজর রাখি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেখানে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। এই কমপ্লেন বক্সগুলি এমন জায়গায় লাগানো হয়েছে যে সহজে সাধারণ মানুষের নজরে আসবে।”
মোদ্দা কথা দিঘায় গিয়ে সেভাবে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি পর্যটকদের, এমনটাই জানান দিচ্ছে কমপ্লেন বক্সের ‘স্বাস্থ্য’।
কেন বসানো হয়েছিল এই অভিযোগ বাক্সগুলি?
অনেক সময় দিঘায় গিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। যেমন কিছু সময় হোটেলগুলির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ ওঠে, কিছু সময় টোটো এবং অটো চালকদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বা পর্যটকদের হেনস্থা করার ঘটনাও বিরল নয়। আবার অনেক পর্যটকদের অভিযোগের অন্যতম জায়গা থাকে খাবার।
কিছু কিছু সময় পর্যটকরা এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করলেও সময় বা কীভাবে তা করবেন সেই কারণগুলির জন্য তাঁরা পিছিয়ে আসতেন।
কিন্তু, কমপ্লেন বক্সগুলি থাকার ফলে পর্যটকরা সরাসরি সেখানে অভিযোগ জানাতে পারেন। দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক অধিকারিকএই প্রসঙ্গে জানান, দিঘায় বেড়াতে এসে যাতে প্রতিটি পর্যটক মুখে হাসি নিয়ে ফেরেন এবং তাঁদের বেড়ানোয় কোনও সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট।
আর সেই কারণেই এই কমপ্লেন বক্স বা অভিযোগ বাক্সগুলি লাগানো হয়েছে। যদি কারও কোনও সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে তাঁরা এই অভিযোগ বাক্সগুলিতে জানাতে পারবেন এবং সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, অতীতে আমফানে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছিল দিঘা। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় এই সমুদ্র সৈকত। বাঙালির নস্টালজিয়ার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে দিঘা। তাকে পুরনো রূপে ফিরিয়ে দিতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দিঘাতেও পুরীর আদলে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দিরটি এমনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে বড় কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এতে কোনও ক্ষতি না হয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “দিঘাতে বহু পর্যটক আসেন। তাঁরা যাতে এখানে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে পারেন, সেই জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”এছাড়াও দিঘাকে সাজিয়ে তোলার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।