ছিল মুরগি, হয়ে গেল ময়ূর! না কোনও রূপকথা বা সিনেমার কোনও অংশ নয়, এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মীরেপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র কিস্কু। জানা গিয়েছে, তাঁর এক আত্মীয় কিছুদিন আগে একটি মুরগির ছানা পুষতে দিয়েছিলেন। এরপর কিস্কু পরিবার যত্ন আত্তি করে সেই মুরগিটিকে লালন-পালন করতে শুরু করে।

কিন্তু, যত দিন যায় ততই সন্দেহ বাড়তে থাকে এই মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের। যাকে মুরগি ভেবে তাঁরা লালন পালন করছিলেন সেই কয়েক মাস পার হতে না হতেই মুগরির মতো আকৃতির হতে থাকে।

Santali Medium School : পঠনপাঠনে উৎসাহী পড়ুয়ারা! দক্ষিণ দিনাজপুরে বাড়ানো হচ্ছে সাঁওতালি ভাষার স্কুল

কিছুদিন পরেই ভুল ভাঙে কিস্কু পরিবারের। তারা বুঝতে পারে আসলে মুরগি ভেবে ময়ূর প্রতিপালন করছে তারা। এদিকে বাড়িতে ময়ূরটিকে রাখার জন্য বন দফতরে কর্মীদের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে তাঁকে। অতিমধ্যেই বনদফতরের কর্মীরা ময়ূরটিকে জঙ্গলে ছাড়ার কথা বলেছে। আর এতে সাড়া দিয়েছে কিস্কু পরিবার।

West Bengal Panchayat Election : সাগরদিঘি ‘মডেল’-এ ধাক্কা! বর্ধমানে বাম-কংগ্রেস জোট প্রশ্নের মুখে
ময়ূরটিকে জঙ্গলে ছাড়ার জন্য শনিবার আঝাপুরের মীরেপাড়া গ্রামে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীদের দল এবং বর্ধমানের সোসাইটি ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার সংস্থার সদস্যরা। তারা পূর্ণচন্দ্র কিস্কুর বাড়িতে পৌঁছে ময়ূরটিকে বাড়ির চালা এবং আশাপাশের গাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। কিন্তু, সারাদিন বহু চেষ্টা করেও সেই ময়ূরটিকে খাঁচাবন্দি করা সম্ভব হয়নি। যদিও বন দফতরের কর্মীরা হাল ছাড়েননি। এদিকে এই দৃশ্য দেখে চোখে জল কিস্কু পরিবারের।

Bardhaman CPIM News : CPIM-এর প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে হত্যার অভিযোগ, উত্তেজনা আউশগ্রামে
বাড়িতে ময়ূর পোষা নিয়ে পূর্ণচন্দ্র কিস্কু বা তাঁর পরিবারের কেউ সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলেননি। তবে সোসাইটি ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ারের পক্ষ থেকে অর্ণব দাস বলেন, “প্রায় নয় মাস আগে পূর্ণচন্দ্র কিস্কুর এক পুরুলিয়ার আত্মীয় তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময় তিনি জানান দুটি মুরগির ছানা তিনি নিয়ে এসেছেন। এরপর কিস্কু পরিবার মুরগি ভেবেই তাদের প্রতিপালন শুরু করে। কিন্তু, এক সময় তাঁরা বুঝতে পারে একটি ময়ূরের প্রতিপালন করছেন। বাড়িতে অন্যান্য মুরগিদের সঙ্গেই বেড়ে উঠতে শুরু করে ময়ূরটিও।”

Bardhaman Weather : কলকাতায় একপশলা বৃষ্টি, কবে সুখবর পাবে দুই বর্ধমানবাসী?
জানা গিয়েছে, সারাদিন গোটা গ্রামে ঘুরলেও সন্ধ্যায় ঠিক পূর্ণচন্দ্রর বাড়িতে ফিরে আসত ময়ূরটি। এরপর ময়ূরটির প্রতি মায়া বাড়ে বাড়ির লোকজনেরও। কিন্তু, আইন মোতাবেক কিছুতেই বাড়িতে ময়ূর রাখা যায় না। তাই কিস্কু পরিবারকে ময়ূরটি বনদফতরের হাতে তুলে দিতেই হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version