অয়ন ঘোষাল: রাজ্যের স্পর্শ্বকাতর জায়গাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। অন্য জায়গাগুলিতে তা প্রয়োজন হলে সেখানেও ধাপে ধাপে তা মোতায়েন করতে হবে। মঙ্গলবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এনিয়ে এবার সরব হলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-সাময়িকভাবে বন্ধ থাকছে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের চলাচল
রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পরই বামেরা হিসেব করে দেখাচ্ছিল, রাজ্যের হাতে যে সংখ্যক পুলিস রয়েছে এবং রাজ্যে যত বুথ রয়েছে তাতে ওই পুলিস যথেষ্ঠ নয়। তাই বাইরের বাহিনী চাই। পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে তা নজড় কেড়েছে রাজ্যের মানুষের। আজ হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর সুজন চক্রবর্তী এনিয়ে সুর চড়ান। তিনি বলেন, ২০১৯ খ্যাত অনুব্রত। বিরোধিশূন্য করার যে মনোভাব নিয়েছিলেন, তাতে তার মাথায় হাত ছিল মমতা ব্যানার্জির। উনি বাঘ বলেছেন। বীর বলেছেন। এখন তাই মানুষ তৃণমূল ছেড়ে লাল ঝান্ডাকে পছন্দ করছে।
ভাঙড়ের সংঘর্ষের কথা বলতে গিয়ে সুজন বলেন, আজ ভাঙড়ের ছবি ভয়াবহ। এটা মনোনয়ন না যুদ্ধক্ষেত্র! তারপরেও আজ আইএসএফ ও আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। অভিষেক যাবে বলে তৃণমূল দেখাতে চাইছিল, কার কত পাওয়ার। প্রশাসন কেন দায়িত্ব নেয়নি? মারের পাল্টা মার। এটাই কি এখন বিরোধিদের ফর্মূলা? নির্বাচন ঘিরে আগে বাংলায় উৎসবের চেহারা নিত। ডোমকলে উইকেট বিক্রি নিয়ে কমিশন খবর নেবে না? তাজা নেতা আরাবুলের ছেলের গাড়িতে তাজা বোমা। সাংবাদিকরা গিয়ে খুঁজে বের করল। পুলিস জানত না? তৃণমূল ভেবেছিল, চট করে ঘোষণা, পট করে মনোনয়ন। বাকিরা পারবে না। তৃণমূল ঘর গুছিয়ে নেবে। এবার উলটপুরান হয়ে গেছে। ৩০০ কোটি খরচ করে অভিষেক যাত্রা করল। তাও প্রার্থী নেই!
সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, কাক্দ্বীপ, ভাঙড়, সোনামুখীতে আক্রমণ হয়েছে। আমরা ঠেকিয়েছি। পুরনো তৃণমূল এখন তৃণমূল করতে চাইছে না। এখন তৃণমূল ভাজা পাঁপড়। টোকা মারলে ঝরে যাবে। নবজোয়ারে ঐক্যমত গড়ে প্রার্থী ঠিক করতে পারল না। ২০১৩ সালে মীরা পাণ্ডে বাহিনী এনে তবু কিছু করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ র অবস্থা অত্যন্ত বেহাল ছিল। যদি মনোনয়ন পর্বে এই অবস্থা হয়, সামান্য কটা মনোনয়ন কেন্দ্রে এই অবস্থা। তাহলে ভোটের দিন কী হবে? এত বুথ!
মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিতিতে হবে নির্বাচন। আপাতত স্পর্শকাতর জেলায় মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকী যে জেলাগুলি পর্যাপ্ত রাজ্য পুলিস থাকবে না, সেই জেলাগুলিতে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব বুথে লাগাতে হবে সিসিটিভি, না হলে ডিভিয়োগ্রাফি করতে হবে’। শুধু তাই নয়, ভোটের অস্থায়ী কর্মীদের কাজের সীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত। ফোর্থ অফিসারের উপরে অস্থায়ী কর্মীদের ডিউটি দেওয়া যাবে না। সার্কুলারের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করা যাবে না সিভিক ভলান্টিয়াদের।