কলকাতা বিমান বন্দরে আগুন লাগার ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। বিমানবন্দরে আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিমান বন্দরের কর্মীদের ম্যানুয়ালি আগুন নেভাতে লক্ষ্য করা যায় বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা কি ছিল না, উঠছে প্রশ্ন।

Kolkata Airport: কলকাতা বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা কুড়ি নাগাদ ১৬ নং কাউন্টারের পাশে সিকিউরিটি হোল্ড এরিয়াতে আগুন লক্ষ্য করা যায়। কনভেনার বেল্টে পাশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যান যাত্রীরা। হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন মুহুর্তের মধ্যে। আগুন নেভাতে দ্রুত ছুটে আসেন এয়ারপোর্টে কর্মরত আধিকারিকরা।

Kolkata Airport News : কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক, যাত্রীর চিল চিৎকারে হুলস্থুল
যদিও প্রথমদিকে, আগুন কিছুটা ছড়িয়ে পড়তে লক্ষ্য করা যায়। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপদ গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়। বের করে দেওয়া হয় একাধিক কর্মীদেরও। বেশ কিছু বিমান সময়মতো ছাড়েনি বলেও দমদম বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। বিমান ধরার জন্য আগত যাত্রীরা অপেক্ষা করতে থাকেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, কনভেয়ার বেল্ট – এ শট সার্কিট হয়ে যাওয়ার কারণেই আগুন লেগে যেতে পারে। তবে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সরকারি ভাবে আগুন লাগার কোনও কারণ জানায়নি।

Rujira Banerjee : অভিষেক পত্নী রুজিরাকে তলব ED-র, চলতি সপ্তাহেই হাজিরার নির্দেশ
এদিন ঘটনার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলে। ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সর্বশেষ তথ্য অনু্যায়ী আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে মোট ৯ দমকলে ইঞ্জিন এসেছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আরও ভালো করে সম্পর্ক জায়গাটি ক্ষতিয়ে দেখছে দমকল কর্মীরা।

Kolkata Airport News : হঠাৎ যাত্রীর চিৎকার, কলকাতা বিমানবন্দরে ছড়াল আতঙ্ক

বিমানবন্দরের সিকিউরিটি হোল্ডিং রুমের সামনে রুমে প্রচুর দরকারি নথি ছিল। যা পুড়ে গিয়েছে। সেই ছাই থাকা চাপা আগুন থেকে ফেলে অগ্নিসংযোগ হতে পারে বলে আশঙ্কা। সেই কারণে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাত্রীরা যাদের চেকিং হয়ে গিয়েছিল তাদের বাদে বাদবাকি সকল যাত্রী সহ বিমানবন্দরে থাকা কিছু কর্মীদে বাইরে বের করে আনা হয়েছে।
মূলত এই সময় বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক বিমান ছাড়ার সময়। সেক্ষেত্রে যেসব বিমানে চেকিং প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে সেইসব যাত্রী বাদে পরবর্তী বিমানের যাত্রীদের কিছু সময় অপেক্ষা করান হচ্ছে। এক্ষেত্রে সেই বিমান ছাড়ার ক্ষেত্রেও কিছুটা দেরি হবে। আগুন লাগার বিষয়টিও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version