রাজ্যে একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না এমন প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হয়েছে অনেক দিন। কতটা বদলছে বিধাননগর পুরনিগম এলাকার ছবিটা। খোঁজ নিল ‘এই সময়’ বিধাননগরের বাজারের ছবি বেশিরভার ক্রেতাই স্মার্ট। ১২ জনের মধ্যে সাত জনের হাতেই চটের ব্যাগ। ছবিটা সল্টলেকের এফ ডি মার্কেটের। ওই মার্কেটে এমনই ছবি দেখা গেল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত।

Tiger Hill : প্লাস্টিকমুক্ত এলাকা ঘোষিত টাইগার হিল
তবে অন্য ছবি বাগুইআটি-কেষ্টপুর-রাজারহাট এলাকার বাজারগুলিতে। সেখানে ফুল থেকে মাছ, মাংস সবই বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকে। ওষুধ ছাড়া ওই এলাকার বেশিরভাগ দোকানেই ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক। প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ। শহরে বর্জ্য প্লাস্টিকের পরিমাণ দৈনিক ১৭০ টন।

Plant On Plastic Bottle : ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকে ফুল ফোটাচ্ছেন ৬৮-র পার্থ
সল্টলেক থেকে সংগ্রহ হয় ৬০ টন। রাজারহাট-গোপালপুর থেকে সংগ্রহ হয় ১১০ টন। নিষিদ্ধ প্লাস্টিক সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় রাজারহাট, কেষ্টপুর, বাগুইআটি, সুকান্তকনগরে

কী উঠে এসেছে সমীক্ষায়?

সম্প্রতি একটি সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে ৬৮ শতাংশ জায়গায় ব্যবহার হয় নিষিদ্ধ প্লাস্টিক। বিধাননগরের ৩২ শতাংশ জায়গায় ব্যবহার হয় একেবারের বেশি ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক। ব্যবসায়ী ও ক্রেতার বক্তব্য, এখন বাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়েই বাজারে যাচ্ছি। মুদিখানা, মিষ্টি, ওষুধের দোকানে দোকান চটের ব্যাগ দিচ্ছে। তবে, জরিমানা পুর অভিযান সে ভাবে না হওয়ায় নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের এখনও রমরমা

Indian Railways New Rules: ট্রেনে করে কতটা মদ নিয়ে যাওয়া যায়? আইন অমান্য করলেই দিতে হবে মোটা জরিমানা!
– তরুণ দত্ত, ক্রেতা।

প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যাগের পর্যাপ্ত সাপ্লাই নেই। সে-কারণেই ৮০ শতাংশ ক্রেতাকে প্লাস্টিকে জিনিস দিতে বাধ্য হচ্ছি

বিপুল হালদার, সব্জি বিক্রেতা

কেন ঠেকানো যাচ্ছে না প্লাস্টিকের ব্যবহার?

পুর অভিযানে খামতি।

Amarnath Yatra 2023 : বাদ চাউমিন-চকোলেট, অমরনাথে তীর্থযাত্রীদের কোন কোন খাবারে নিষেধাজ্ঞা?
বিকল্প ব্যাগের উৎপাদনে জোর দেওয়া ক্ষেত্রে কোনও উদ্যোগ নেই।

সচেতনতা প্রচার যতটা হওয়া প্রয়োজন তা হয় না।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

প্লাস্টিক বন্ধ করতে হলে এর ক্ষতিকর দিকগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে এবং লাগাতার জরিমানা চালু করতে হবে। সেই সঙ্গে বিকল্প জিনিসের সরবরাহ বাড়াতে হবে, লাগাম টানতে হবে প্লাস্টিক উৎপাদনে। -অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরিবেশ বিজ্ঞানী

প্রশাসনের বক্তব্য

লাগাতার জরিমানা এবং প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত করার কর্মসূচি চলছে। পুলিশের সাহায্যেও নেওয়া হচ্ছে। যার জেরেই কিছুটা হলেও কমেছে প্লাস্টিকের ব্যবহার

রহিমা বিবি, মেয়র পারিষদ (পরিবেশ), বিধাননগর পুরনিগম



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version