এই সময়: খোলা হয়েছিল একাধিক কোম্পানি, শতাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কালো টাকার লেনদেনে ব্যবহার হয়েছিল হাওয়ালারও। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে এমনই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আদালতে তুলে ধরল ইডি। একই সঙ্গে প্রমাণ লোপাটের বিষয়ে ইডির স্ক্যানারে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে সুজয়কৃষ্ণই নির্দেশ দিয়েছিলেন কি না,

Kalighater Kaku : ‘আদানি-অম্বানির থাকতে পারে, আমার ২০০ কোটি থাকলে দোষ?’ ক্ষুব্ধ কালীঘাটের কাকু
সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে এবার কাকুর ভয়েস টেস্ট করার আবেদনও আদালতে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবীদের বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে ভয়েস টেস্টের বিষয়ে আলাদা করে আপিল করার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। পাশাপাশি কালীঘাটের কাকুকে আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সওয়াল-জবাব চলাকালীন এদিন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেন, অভিযুক্তের ১০০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক ছিল ধৃতের। এছাড়া সুজয়কৃষ্ণের চারটি কোম্পানির হদিশ মিলেছে। যেখানে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। ইডির দাবি, এর মধ্যে মেসার্স ওয়েলথ উইজ়ার্দ প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে হাওয়ালার মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছিল।

Kalighater Kaku : ‘সাহেব’-কে তলব ইডির! মুখ খুলে ‘কালীঘাটের কাকু’ বললেন, ‘লাভ নেই’
ওই কালো টাকা পরে সাদা করতে কাকু তাঁর রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় লাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে ৮০ কাঠা জমি কিনতে ১ কোটি টাকা বেশি ব্যবহার করা হয় বলেও ইডির দাবি। নগদে সেই টাকার লেনদেন হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণেরই আরও একটি কোম্পানি মেসার্স নয়নিকা এন্টারপ্রাইসের মাধ্যমে। যদিও সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী সেলিম রহমান এই দাবির পুরোটাই অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ইডি আমার মক্কেলকে অ্যারেস্ট করার সময় কোনও নগদ টাকা অথবা গয়না উদ্ধার করতে পারেনি। যে সব তথ্য সামনে আনা হচ্ছে তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণও দাখিল করা হয়নি।’

এর পাশাপাশি এদিন সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনাও সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার আবেদন করা হয় ইডির তরফে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে থাকাকালীন নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি রাহুল বেরাকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ ফোন থেকে ডিলিট করার কথা বলেছিলেন কি না? সুজয় বিষয়টি অস্বীকার করেন।

Kalighater Kaku : দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসার মুখে ‘কালীঘাটের কাকু’র জামাই
পরে কালীঘাটের কাকু এর আংশিক সত্যতা স্বীকার করে নিয়েও তদন্তকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। সত্যিই কি প্রমাণ লোপাট করতে বলেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ? ইডি সূত্রের খবর, তাদের কাছে একটি কল রেকর্ডিং রয়েছে। সেই কলের গলা সুজয়কৃষ্ণেরই কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই ভয়েস টেস্টের আবেদন করা হয়েছে। যদিও সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী দাবি করেন, এ জন্য আলাদা আবেদন করা দরকার। এদিকে, এ দিনও জেলে যাওয়ার পথে সুজয়কৃষ্ণ দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁর নাম বলার জন্য কেউ এখনও চাপ দেননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version