একটি সূত্র বলছে, বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং পোর্টাল এর জায়গা শর্ট সার্কিট এর মাধ্যমে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর লাইনে থাকা দাঁড়িয়ে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। লাগেজ স্ক্যানার মেশিন থেকে দূরে চলে যান তড়িঘড়ি। বিমানবন্দরের কর্মীরা চলে আসেন আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আনার জন্য। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে এই লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে আগুন জ্বলতে থাকে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে প্যাসেঞ্জারদের লাগেজও পুড়ে যায়। তবে এয়ারপোর্ট অথরিটির এক আধিকারিক জানিয়েছে, ৯টা ৪০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসা হয়। গেট থেকে চেক ইন সার্ভিস পুনরায় শুরু হয়ে যায় ১০.২৫ মিনিট থেকে। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলেও জানান হয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর হাই সিকিউরিটি জোন। চূড়ান্ত নিরাপত্তা ও আধুনিক ব্যবস্থা প্রতিপালন করা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। প্রতি মুহূর্তেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করে বিমানবন্দরে। রাতে যে সময় আগুন লাগে, সেই সময় প্রচুর বিদেশি গামী বিমান যাত্রার সূচি ছিল। বেশ কিছু বিমান ছাড়তে দেরি হয় বলেও জানা গিয়েছে। হয়রানির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি জানান, দুর্ভাগ্যবশত ছোটখাটো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এয়ারপোর্ট ডিরেক্টরদের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
তবে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানবন্দরের কর্মী, দমকল কর্মীদের চেষ্টায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক ভাবে, সমস্ত যাত্রীকে শুরুতেই নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বিমান চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি পান যাত্রীরা।