পঞ্চায়েত নির্বাচনে কারা লড়তে পারবেন বা পারবেন না, সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তালিকা দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে শিক্ষা বন্ধু বা গ্রাম সহায়ক সহ একাধিক পদে কর্মরতদের জন্য আরও একদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হল। এদিন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ১৬ জুন পর্যন্ত এই সমস্ত পদাধিকারীদের মনোনয়ন জমা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।

Panchayat Election 2023: রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট, নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগেই স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল রেশন ডিলার, হোম গার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার, গ্রাম রোজগার সেবকরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না। অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করার সুযোগ পাবেন না তাঁরা। সেক্ষেত্রে রেশন ডিলার, হোমগার্ড, শিক্ষাবন্ধু, চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি প্রার্থী হতে হলে ওই কাজ থেকে ইস্তফা দিতে হবে।

WB Panchayat Election Nomination: বড়ঞা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরী, জানেই না দল!
রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আদালতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন করলেও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়।

Panchayat Election 2023 : অশান্তি- &amp#39;খুন&amp#39; বাদ গেল না কিছুই! রক্তপাত পেরিয়ে মিটল পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব
তবে, সরকারের ছোটখাটো বিভিন্ন পদে কর্মরত বিভিন্ন কর্মচারীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য আরেকদিন বাড়তি সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত তাঁরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে পারে, সে ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

Panchayat Election 2023: হাতে লাঠি! ভাঙড়ে ‘এগিয়ে চলেছে’ তৃণমূল!

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর ব্যাপারে রাজ্য নিরাবচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়। রাজ্যে স্পর্শ কাতর এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে রাজ্য সরকারের গড়িমসির অভিযোগ এবং মনোনয়ন পর্বে জেলায় জেলায় চূড়ান্ত অশান্তি, রক্তপাতের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্পর্শকাতর এলাকা নয়, গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন দাখিল পর্বের শেষ দিনেও একাধিক জায়গায় অশান্তির ছবি উঠে আসে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় দুইজন রাজনৈতিক কর্মীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক দলগুলোর বিক্ষোভ, অশান্তি থামাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় রাজ্য পুলিশকে। সে কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখল আদালত বলেই মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version