পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ঘিরে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। তৃণমূল আইএসএফ সংঘর্ষে মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। সংঘর্ষ থামলেও এখনও থমথমে ভাঙড়। এদিন কাকদ্বীপের সভা থেকে নাম না করে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Nawsad Siddiqui : ‘রাজ্যের অভিভাবকের কাছে এসেছিলাম…’, আচমকাই নবান্নে নওশাদ
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুলে পালটা তৃণমূলকে আক্রমণের পথে হেঁটেছেন নওশাদ। ভাঙড়ের মৃত আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছে নওশাদ। সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। মমতার মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুলে নওশাদ বলেন, ‘এই মনোনয়ন প্রক্রিয়া যদি মুখ্যমন্ত্রীর সুন্দর বলে মনে হয়, তবে কত লাশের পড়লে ওনার ভালো লাগবে! ওঁদের কাছে লাশের রাজনীতি ভালো। বোমা-গুলির রাজনীতিই হয়তো ওঁরা পছন্দ করেন। বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে ঝামেলা করবেন। এলাকার শান্তিৃশৃঙ্খল বিঘ্নিত করা যদি সুন্দর হয়, তাহলে ঠিক আছে।’

Bengal Panchayat Polls: অভিষেকের নবজোয়ারের দিনই রণক্ষেত্র ভাঙড়, মনোনয়ন ঘিরে বোমাবাজি-গুলি বিডিও অফিসের কাছে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, আইএসএফের আনা বহিরাগতদের তাণ্ডলবে তৃণমূলের দুই কর্মী মারা গিয়েছেন। মমতার এই দাবি কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন তরুণ বিধায়ক। নওশাদ বলেন, ‘বাংলার গণতন্ত্রীপ্রেমী মানুষের কাছে এটা ভয়ঙ্কর পরিবেশ। আনিসের মৃত্যু ওঁদের কাছে সুন্দর লাগে। বগটুইয়ের ঘটনাও সুন্দর বলে মনে হয়। তৃণমূলের কেউ মারা গিয়ে থাকেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, তাদের পরিচয়পত্র প্রকাশ করা হোক। ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে একজন আইএসএফ কর্মী ছাড়া কেউ মারা যায়নি।’

আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি। উনি নাম প্রকাশ করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। আমরা ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এই ঘটনা নিয়ে আমরা এনআইএ তদন্তের আবেদন করেছি। এনআইএ তদন্ত করলে সঠিক তথ্য উঠে আসবে।’ ভাঙড়ের ঘটনার পর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান নওশাদ। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি মমতা।

Arabul Islam Bhangar: আরাবুলের ছেলের গাড়ি থেকে বোমা উদ্ধার! ISF-এর ঘাড়ে দায় ঠেলল তৃণমূল
অন্যদিকে কাকদ্বীপের সভা থেকে নাম না করে এদিন নওশাদকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘ভাঙড়ে সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়ে পরিবেশ অশান্ত করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের সবাই এঁদের সঙ্গে নেই। ভাঙড় থেকে একজন জিতেছে, নিজেকে কী না কী মনে করছে। পুলিশক কঠোরভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বলা হয়েছে। বাংলায় এর থেকে শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এঁর আগে কখনও হয়নি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version