এই সময়: এতদিন সারা দেশকে চালের জোগান দিয়েছে বাংলা। এ বার প্রথম রেশনে চাল-গমের সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখতে কেন্দ্রের সাহায্য চাইল রাজ্য। রাজ্যের খাদ্যসচিব দিন কয়েক আগে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিবকে। যা জেনে অনেকেরই প্রশ্ন, তবে কি রাজ্যে চালের ঘাটতি দেখা দিল? খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ অবশ্য বলছেন, ‘আমাদের হাতে যথেষ্ট চাল আছে। কিন্তু এ বার কেন্দ্র ওপেন মার্কেট সেলস স্কিমে রাজ্যকে গম সরবরাহ না করায় চালের চাহিদা বেশি হতে পারে। সে জন্যেই কেন্দ্রকে বলা হচ্ছে, গম দিতে না পারলে চাল দিন।’

Wheat Stock Limit: 15 বছরে প্রথমবার গম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের, শীঘ্রই কমবে দাম!
খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা প্রকাশ্যে খুলতে চাইছেন না। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক কারণে এ বার রাজ্যের হাতে চালের স্টক কমই। যার অন্যতম বড় কারণ, এ বছর চাষিদের থেকে ধান সংগ্রহের কাজ অনেকটা বিঘ্নিত হয়েছে। অনেক চাষিই সরকারকে ধান বিক্রি করেননি। বরং খোলাবাজারে বিক্রি করেছেন। তার উপর ধান কেনা নিয়ে জেলার সময়বায়গুলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকে পুরো প্রক্রিয়াই হোঁচট খেয়েছে। ফলে চাষিদের থেকে সংগৃহীত ধান থেকে যে পরিমাণ চাল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছিল, বাস্তবে তা হবে না।

First Flower Grown In Space : মহাকাশে ফুটল ফুল! NASA-র ছবি দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের
অন্য দিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাজ্যকে গমের জোগান বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। গমের বদলি হিসাবে রাজ্যকে রেশনে বেশি করে চাল দিতে হচ্ছে। সে কারণেও এ বছর অতিরিক্ত চাল প্রয়োজন। এ অবস্থায় রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে কেন্দ্রের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া বিকল্প রাস্তা দেখছেন না খাদ্য-আধিকারিকরা। কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে রাজ্যের খাদ্যসচিব পারভেজ সিদ্দিকি অনুরোধ করেছেন, জুলাই থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ওপেন মার্কেট সেলস স্কিমে ন্যূনতম মূল্যে গম দেওয়ার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। এই খাতে ৮০ হাজার মেট্রিক টন গম চেয়েছে রাজ্য। না হলে তার বদলে চাল সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version