এই সময়: কেউ বর্তমান বিধায়ক, কেউ শিক্ষাবিদ-প্রাক্তন উপাচার্য, কেউ আবার প্রাক্তন প্রশাসক। কিন্তু ভরা এজলাসে তাঁদেরই শুনতে হলো, তাঁরা দাগি অপরাধী। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ বাকি অভিযুক্তদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করল সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, জামিন পাওয়ার জন্য এখন এই অভিযুক্তরা অনেক আবেদন নিবেদন করলেও আসলে তাঁরা দাগি অপরাধীর থেকে কম কিছু নন। পাল্টা কড়া সমালোচনা করেছেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরাও।

Partha Chatterjee : ‘যা বলেছেন আদালতের পক্ষে অপমানজনক’, আলিপুরে পার্থকে কড়া ধমক বিচারকের
এ দিন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় জীবনকৃষ্ণ, সুবীরেশ, কৌশিক ঘোষ, প্রদীপ সিং, শাহিদ ইমাম, শেখ আলি ইমামদের। শান্তিপ্রসাদকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় আদালতে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা যে কোনও শর্তে জামিন চান অভিযুক্তদের। জীবনকৃষ্ণর আইনজীবী দাবি করেন, দিনের পর দিন তাঁর মক্কেলকে জেলে পুরে রাখার জন্য মাত্র দু’টি অভিযোগই সামনে আনা হচ্ছে–তিনি বিধায়ক এবং জামিন পেলে প্রমাণ লোপাট করতে পারেন।

Recruitment Scam : ফের শিক্ষাসচিবকে তলব CBI-র! নিজামে হাজিরা দেবেন মণীশ জৈন?
আইনজীবীর কথায়, ‘আমার মক্কেলের ছেলে খুবই ছোট। মাসের পর মাস বাবা কাছে না থাকায় ও মনের দিক থেকে ভেঙে পড়েছে। বড় হওয়ার পথে প্রভাব পড়ছে। তাছাড়া জীবনকৃষ্ণ এসএসসিরও কেউ নন।’ সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল অত্যন্ত অসুস্থ। তাঁকে জেল থেকে আদালতে আনতেই সমস্যা হচ্ছে। এই শারীরিক কারণে দেখিয়ে জামিনের আবেদন করা হয়।

Kalighater Kaku : কালীঘাটের কাকুর অ্যাকাউন্টে গোরু পাচার চক্রের টাকা
শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী বলেন, ‘কবে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে? এই ভাবে তো ১০-১৫ বছর কেটে যাবে।’ একই সঙ্গে এ দিন তাঁরা আরও একবার চার্জশিটে নাম থাকা সত্ত্বেও সিবিআই যাঁদের গ্রেপ্তার করেনি তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সিবিআইয়ের কৌঁসুলির পাল্টা যুক্তি, ‘এঁরা কেউ সাধুসন্ত নন। এঁরা দাগি অপরাধীদের থেকে কম কিছু নন। যখন এঁদের হাতে ক্ষমতা ছিল, তখন এঁরা একের পর এক অন্যায় করেছেন।’

Justice Amrita Sinha : ‘শ্লথ গতি, নতুন কোনও তথ্য নেই’, কুন্তলের চিঠি মামলায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে ED
তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘কেন ধরে নেওয়া হচ্ছে ১০-১৫ বছর সময় লাগবে তদন্ত শেষ হতে?’ চার্জশিটে নাম আছে অথচ গ্রেপ্তার হননি, এমন ব্যক্তিদের নিয়ে কী করা হচ্ছে তা সিবিআইয়ের তরফে বিচারককে কেস ডায়েরিতে দেখানো হয়। কিন্তু সিবিআইয়ের এই কথা তীব্র বিরোধিতা করে অভিযুক্তদের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী বলেন, ‘এটা তো সংবাদমাধ্যমের কাছে একটা খোরাক দিয়ে দেওয়া হলো।

Kalighater Kaku : কালীঘাটের কাকুর ভয়েস পরীক্ষা করতে আদালতে আবেদন ইডির
জেলে পাঠানোর মতো কোনও নতুন তথ্য প্রমাণই হাজির করা হচ্ছে না।’ ফলে এই ধরনের মন্তব্য করে সিবিআই মুখরক্ষার চেষ্টা করছে বলে দাবি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের। যদিও সওয়াল জবাব শেষে প্রত্যেককেই ২৯ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version