জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কালীঘাটে অনুষ্ঠিত হল তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠক। এই বৈঠককে বলা হচ্ছে তৃণমূলের রণকৌশল বৈঠক, বলা হচ্ছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত বৈঠক। সেখানে কথা বললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ। দিলেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও। আজ শনিবার সন্ধের মুখে কালীঘাটে আয়োজিত তৃণমূলের এই সাংবাদিক বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় রণকৌশল ব্যাখ্যা করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ। 

আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: নিয়োগ পর্যবেক্ষক, জেলায় জেলায় স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকার তালিকার চাইল কমিশন

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে কথা বললেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বললেন। প্রথমে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে। তিনি দলের তরফে সমস্ত দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ দিলেন। বললেন, সারা রাজ্যে তাঁরা যেভাবে সামগ্রিক ভাবে গোটা ব্যাপারটি সংগঠিত করেছেন, সফল করেছেন, সেজন্য সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। কল্যাণ জানালেন, দলের তরফ থেকে ৫০ জন আগামী কয়েকদিন ধরে গোটা রাজ্যে এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবেন। 

কী করবেন তাঁরা? 

ব্যাখ্যা করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, যেসব দলীয় কর্মী নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, দয়া করে নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন না, দলের হাত শক্ত করুন, বিরোধীর সুবিধা করে দেবেন না। অনুরোধ করি, আপনারা আপনাদের মনোনয়নপত্র উইথড্র করে নিন। দলের কর্মীদেরই আপনারা জেতান। এটা বড় লড়াই। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস একসঙ্গে আছে। তিনের বিরুদ্ধে একের লড়াই। যাঁরা আজ আমাদের এই অনুরোধে সাড়া দেবেন, তাঁদের পাশে আগামী দিনে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু যাঁরা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করবেন, আগামী দিনে দলের দরজা-জানলা তাঁদের সামনে চিরতরে বন্ধ থাকবে। এটা আমার কথা নয়। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথা। 

এর পরে আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলেন কল্য়াণ। তিনি ১০০ দিনের কাজ ও তার টাকা নিয়েও ব্য়াখ্যা দেন। বলেন, মানুষ টাকা পাচ্ছেন না। মানুষের একটা ধারণা আছে যে, টাকাটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেয়। কিন্তু অভিষেক পরিষ্কার করে বলেছেন, এই টাকার ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র, ৪০ শতাংশ রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্র তাদের টাকাটা দিচ্ছে না বলে মানুষ টাকা পাচ্ছেন না। তাই আমরা একটা রেজলিউশন নিয়েছি যে, পঞ্চায়েত ভোট হয়ে গেলে আমরা ১০ লক্ষ মানুষকে নিয়ে এই ইস্যুতে দিল্লিতে একটা আন্দোলন করব। আমাদের রাজনৈতিক লড়াই চলবে। 

কল্যাণ বলেন, সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সেন্ট্রাল ফোর্স থাকল কি গেল, তাতে আমাদের কিছু আসে-যায় না। মানুষ তৃণমূল  কংগ্রেসকে পছন্দ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করেন, ফলে এসব নিয়ে দল কিছু চিন্তা করছে না, মাথাও ঘামাচ্ছে না। আমাদের লড়াই তিনের বিরুদ্ধে। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আমরা লড়াই করব। আমরা কোনও অশান্তি চাই না । আমাদের একটাই কথা, শান্তি। আমরা কোনও রাজনৈতিক হিংসাকে সমর্থন করি না। 

২০২৩ সালে বাংলার মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করুন। আপানারা আবার আশীর্বাদ করুন। বিজেপকে একটাও ভোট দেবেন না। তৃণমূল কংগ্রেস কথা দিচ্ছে, ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সারা দেশে বিজেপিকে নিশ্চিহ্ন করবে। কল্যাণ কথাপ্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অধীর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সব চেয়ে বড় এজেন্ট। তিনি নাম না করে রাজ্যপালকেও বেঁধেন। বলেন, বোস সারনেম থাকলেই তিনি নেতাজি সুভাষ বোস হয়ে যান না!  

আরও পড়ুন: ISKCON Rath Yatra: করমণ্ডল-দুর্ঘটনায় মৃতদের জন্য শান্তি কামনা করে ৫২তম বছরে গড়াবে রথের চাকা…

এই বৈঠকে কথা বলেন কুণাল ঘোষও।  তিনি মূলত নৌশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগের কথা বলেন। কুণাল জানান, নৌশাদ সিদ্দিকী কৈলাস বিজয়বর্গীয়র একটি হোয়াটসঅ্যা চ্যাটের কথা। বলেন, এদের মধ্যে অশুভ আঁতাঁত তৈরি হয়েছে। আমাদের সরাসরি অভিযোগ, বিজেপির হাতের পুতুল হয়ে কিছু মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য এই আইএসএফ দলটি গঠিত হয়েছে এবং ব্যবহৃত হচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে আইএসএফ এবং তাদের সঙ্গে বামপন্থীদের এই অন্ধ তৃণমূলবিরোধিতার নিন্দা করছি আমরা। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version