হাতে খুব বেশি সময় নেই। কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রামবাংলার নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে শনিবার কালীঘাটের বাসভবনে দলীয় নেতানেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্ব এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জেলার বিধায়ক, সাংসদ, দলীয় পদাধিকারীরাও এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক পেয়েছিলেন।

ভোট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে একটি ‘অপ্রত্যাশিত’ ঘটনা ঘটে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রীর কাছে পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন দলের রাজ্য সভাপতি ও রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি। শুধু তাই নয় রাজ্য সভাপতির পদ অভিষেককে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ন নেতা।

ভোট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে একটি ‘অপ্রত্যাশিত’ ঘটনা ঘটে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রীর কাছে পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন দলের রাজ্য সভাপতি ও রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি। শুধু তাই নয় রাজ্য সভাপতির পদ অভিষেককে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ন নেতা।

West Bengal Panchayat Election : ১৭ জুন পঞ্চায়েত নিয়ে বৈঠক শাসকদলের
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রিয় ‘বক্সিদার’ মুখে পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনে অবাক হয়ে যান মমতা। পরে খানিক সামলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা এখানে আলোচনার বিষয় নয়।’ তবে কেন সুব্রত বক্সি পদ ছেড়ে দিতে চান, সেই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছেন সুব্রত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। দলের সকলের কাছে ‘বক্সিদা’ নামে অধিক পরিচিত এই তৃণমূল নেতা। রাজনীতি সম্পর্কে যাঁরা খোঁজখবর রাখেন, তাঁরা জানেন, মমতার অত্যন্ত ‘আস্থাভাজন’ হিসেবেই পরিচিত সুব্রত। অভিষেকের সঙ্গেও তাঁর অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন নিয়ে পদ ছেড়ে দিতে চাইলেন, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

Mamata Banerjee : ৩২ বছর পুরনো ছবি উপহার, অভিষেকের লড়াইয়ের ইতিহাস জানিয়ে দিলেন মমতা
জন্মলগ্ন থেকে দলের রাজ্য সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও, বরাবরই প্রচারের আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন এই তৃণমূল নেতা। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সুব্রতর হাতে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ত ও পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু মমতার জন্য ভবানীপুরের বিধায়ক পদ ও মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে একবারও ভাবেননি সুব্রত। তাঁর ইস্তফা দেওয়ার পরই প্রথমবার ভবানীপুর উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন মমতা।

WB Panchayat Election : ঘোষণা ছাড়াই শুরু মনোনয়ন, আনুষ্ঠানিক ভাবে তালিকা জানাল না তৃণমূল
২০১২ ও ২০১৪ সালে তৃণমূলের হয়ে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সুব্রত। দু’বার বিপুল ভোটে সেখান থেকে নির্বাচিত হন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ভোটে লড়বেন না বলে একপ্রকার গোঁ ধরেন বক্সি। বাধ্য হয়ে মালা রায়কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। সেই সুব্রতকেই ২০২০ সালে রাজ্যসভার সাংসদ করে ফের সংসদে পাঠান মমতা। এহেন সুব্রত বক্সি কেন দলীয় পদ ছেড়ে দিতে চাইলেন, সেই প্রশ্ন নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version