পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাও পঞ্চায়েত নির্বাচন কী রক্তপাতহীন হবে? উত্তর নেই কারও কাছেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পোলিং ডিউটি থাকে সরকারি আধিকারিকদের। আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে প্রচুর স্কুল শিক্ষককে দেখা গিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াইয়ের মনোনয়ন জমা দিতে। পোলিং ডিউটি থেকে বাঁচতেই এই পদক্ষেপ? উঠছে প্রশ্ন।

Panchayat Election Nomination: ৮৫ বছরে পঞ্চায়েত প্রার্থী, কাঁকসায় বিজেপির যুব সমাজের অনুপ্রেরণা উমারানী
মনোনয়ন পর্বের স্ক্রুটিনি হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮০০ জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে ২০০ জন এমন রয়েছেন যাঁরা পেশায় স্কুল শিক্ষক। কেউ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন, কেউ আবার ‘ মেডিকেল সার্টিফিকেট’ জোগাড় করত দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছেন। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কী রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে? সেই কারণ থেকেই কী পোলিং ডিউটি থেকে বাঁচার কৌশল বের করছেন সরকারি কর্মীরা? উঠছে প্রশ্ন।

West Bengal Panchayat Election : তৃণমূল প্রার্থী শিউলির বিপরীতে বিজেপির বাজি মৌসুমী, দণ্ডির ঘটনাই প্রচারের শীর্ষে তপনে
একটি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অল বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, অনেকেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতির কথা মনে করে ভয় পাচ্ছেন। সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যথা রয়েছে তাঁদের। সে কারণেই এরকম পদক্ষেপ নিচ্ছেন অনেকে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার জেলায় মোট ৬৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। আগামী ৮ জুলাই ভোটগ্রহণ হবে সারা রাজ্য জুড়ে। তার আগেই মনোনয়ন পর্বেই একাধিক জায়গায় রক্তপাত, মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে একাধিক জেলা থেকে। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরও বেশি অশান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তাই অনেক সরকারি আধিকারিকরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন সকলেই।

West Bengal Panchayat Election : বড় ভাই BJP, ছোট ভাই তৃণমূলের প্রার্থী! নজরকাড়া লড়াই এবার কৃষ্ণগঞ্জে
জেলার এক স্কুলের শিক্ষক বলেন, ” আমাদের মাথা ঝুঁকি নিয়ে ভোটের কাজ করতে যেতে হয়। আমাদের পরিবার, পরিজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রাণ হাতে নিয়ে কাজ করতে হয় আমাদের। তাই অনেকেই এইরকম উপায় বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে।”

Panchayat Election 2023 : ‘ওরা শুরু করলে আমরাও লাশ ফেলবো’ পুলিশের সামনেই হুঁশিয়ারি!

প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যাবহার করা হবে কিনা তা আদালত ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরেও ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তপাত দেখেছিল বাংলা। এরবারেও যে তার অন্যথা হবে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বার্তা দিতে পারছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। সে কারণেই সরকারি আধিকারিকেদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version