সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত ২০০২ সালে। নিখিলকুমার সিনহা তাঁর পরিবারের জন্য একটি মেডিক্লেম পলিসি কেনেন। তবে তার আগেই নিখিলের স্ত্রী হৃদরোগে ভূগছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাও হয়। ওই হাসপাতাল থেকে জানানো হয় যে, রোগিণীর হার্টের ভাল্ভ খারাপ ছিল। স্ত্রীর ওই অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেই নিখিল মেডিক্লেম পলিসি কেনেন। প্রতি বছর মেডিক্লেমের প্রিমিয়াম দিয়ে নিখিলকুমার সিনহা তাঁর পলিসি রিনিউ-ও করাচ্ছিলেন।
গত বছর গুরুতর অসুস্থ হলেন নিখিলকুমার সিনহার স্ত্রী, ৬৮ বছরের কাবেরী। কলকাতা একটি নামী হাসপাতালে তাঁর হার্টের ভাল্ভ রিপ্লেসমেন্ট-এর জন্য অস্ত্রোপচার করা হলেও তিনি শেষমেশ মারা যান। মেডিক্লেম পলিসি-তে নিখিল তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ দাবি করলে বিমা সংস্থার তরফে জানানো হয়, কাবেরী আগে থেকেই অসুস্থ (প্রি-ডিজ়িজ়) ছিলেন এবং সেই জন্য মেডিক্লেমে এক পয়সাও মিলবে না।
নিখিলের আইনজীবী গোবিন্দ ঘোষ বলেন, ‘আমার মক্কেল পলিসি করার সময়ে তাঁর স্ত্রীর হৃদরোগের কথা গোপন করেননি, সেটা তিনি উল্লেখ করেছিলেন। তার পরেও পলিসি হয়েছিল, তিনি প্রিমিয়ামও দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই, এ ক্ষেত্রে বিমা সংস্থার দেওয়া ‘প্রি ডিজি়জ়’-এর যুক্তি খাটে না বলে ক্রেতাসুরক্ষা আদালত মনে করেছে।’ হুগলি জেলা ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের প্রেসিডেন্ট দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দুই সদস্য মীনাক্ষী চক্রবর্তী ও দেবাশিস ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নিখিলকে বিমা সংস্থাটি মেডিক্লেমের টাকা এবং ক্ষতিপূরণ ও মামলার খরচের টাকা দেবে।