ঠাকুরনগর ঠাকুর বাড়িতে গোলমালের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলকারীর অভিযোগ FIR হিসেবে গ্রহণ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ADJ পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে এই তদন্তের দায়িত্ব দিতে হবে বলে এদিন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

Dilip Ghosh : &amp#39;কালীঘাট মন্দিরে কতবার গিয়েছেন…&amp#39;, অভিষেকের ঠাকুবাড়ির সফর নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ
ঠাকুরবাড়ির অশান্তির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেই মামলায় এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়, যে সব মতুয়া ভক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের জামিনে ছেড়ে দিতে হবে। তবে তদন্তের সাহায্যের ক্ষেত্রে তাঁরা তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে সপ্তাহে দুদিন দু’ঘণ্টার জন্য দেখা করবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি তাঁরা জেলা ছাড়তে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে।

Abhishek Banerjee News: ঠাকুরবাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নিশানায় শান্তনু ঠাকুর
পাশাপাশি, মন্দির ও চাঁদপাড়া হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে। ১৮ জুলাই তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে তদন্তকারী অফিসারকে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি। মামলাকারীদের অভিযোগ, গত ১১ জুন পাঁচ হাজার পুলিশ মতুয়া মন্দিরে প্রবেশ করে আগাম কোনও কিছু না জানিয়ে বলে অভিযোগ। সেখানে তখন রথের জন্য মিটিং চলছিল। বহু ভক্ত ছিলেন সেখানে। তাই সভাধিপতি ঠাকুর তাঁদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর চূড়ান্ত অশান্তি তৈরি হয় মন্দির চত্বরে।

West Bengal Panchayat Election : ঠাকুরবাড়িতে জুতো পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী? প্রতিবাদে মিছিল করে &amp#39;ধিক্কার&amp#39; মতুয়াদের একাংশের
পুলিশ পাঁচটি FIR করে। একটি মামলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ সহ বাধা দানের অভিযোগ আনা হয়। প্রায় সব মামলার বয়ান একই। শুধু বিভিন্ন নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রায় একই সময়ে, একইদিনে। পাঁচ নম্বরটি স্থানীয় BMOH করেন। মন্দিরে গোলমালের এক ঘণ্টা পরেই BMOH অভিযোগ করেন।
গোটা ঘটনায় আট জন মতুয়া ভক্তকে গ্রেফতার করা হয়। দুদিন পরে তাঁরা জামিন পান। সেই মামলায় জামিন পেতেই নতুন মামলায় পুলিশ তাঁদের শোন অ্যারেস্ট করে। এখন তাঁরা পুলিশ হেফাজতে।

Matua Community : ‘মুখ্য়মন্ত্রী ক্ষমা না-চাইলে মহাকরণ অভিযান’, হুঁশিয়ারি মতুয়াদের

মামলা শোনার পরেই সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হোক বলেও জানানো হয়। প্রসঙ্গত, ১১ জুন ঠাকুরবাড়িতে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, মন্দিরে নিজের কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্দিরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই চূড়ান্ত অশান্তি শুরু হয় মন্দির চত্বরে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version