ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়ল যাত্রীবাহী ট্রেন। এবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল লোহিত এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার দুপুরে লোহিত এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে শেষ খবর পাওয়া খবর পর্যন্ত। রেল পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছেন রেলের আধিকারিকরা।

Indian Railway: করমণ্ডল দুর্ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসল রেল বোর্ড, সমস্ত জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের চিঠিতে নতুন নির্দেশ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোহিত এক্সপ্রেস 15651 গুয়াহাটি থেকে জম্মু তাওয়াই যাওয়ার পথে ডালখোলা স্টেশন এবং সূর্যকমল স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইঞ্জিন থেকে ১০ টির মত বগি আলাদা হয়ে যায়। রেলের বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে রয়েছে রেলপুলিশ ও ডালখোলা থানার পুলিশ।

Yuzvendra Chahal: দশকের ভয়ংকরতম রেল দুর্ঘটনার বলি ২৮৮ জন! ১ লাখ টাকা সাহায্য চাহালের
করমণ্ডল এক্সপ্রেসে প্রচুর মানুষের মৃত্যুর পরেও হুঁশ ফেরেনি রেলের। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় স্টেশনের অদূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লোহিত এক্সপ্রেস। গুয়াহাটি ছেড়ে জম্মু তাওয়াই-এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি৷ তারমধ্যে ডালখোলা স্টেশন এবং সূর্যকমল স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আচমকাই ইঞ্জিন বগি থেকে আলাদা হয়ে পড়ে৷ প্রায় ১০ টি বগি আলাদা হয়ে যায় ইঞ্জিন থেকে। আর এতেই তীব্র আতংক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে।

Coromandel Express Accident Reason : দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে রেলের অভ্যন্তরে মতের অমিল! তদন্তকারীর মন্তব্যে শোরগোল
অনেকেই ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডালখোলা স্টেশন মাস্টার সহ রেলের পদস্থ আধিকারিকেরা। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখেন তারা৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ইঞ্জিন আর বগি মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। কী হল অনেকেই বুঝতে না পেরে ট্রেন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে।

Odisha Train Accident: সিবিআই মাঠে নামার আগেই প্রত্যক্ষদর্শীদের ডাকলো রেল!

জানা গিয়েছে, 15651 লোহিত এক্সপ্রেস গুয়াহাটি থেকে জম্মু তাওয়াই যাওয়ার পথে ডালখোলা স্টেশন এবং সূর্যকমল স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবরই,ইঞ্জিন থেকে ১০ টির মত বগি আলাদা হয়ে যাওয়া ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে রয়েছে রেলপুলিশ ও ডালখোলা থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যার জেরে প্রচুর মানুষ প্রাণ হারান। কেন বারবার একের পর এক ট্রেন এভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে যাত্রীদের নিরাপত্তা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের রেল নিয়ে উদাসীনতার কারণেই ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে হচ্ছে না। প্রায় দিনই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে সফর করতে হচ্ছে। কিন্তু এভাবে কতদিন? কেন নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে না? এদিন এই দুর্ঘটনার এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। তথাপি রেলের যাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version