তবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকায় তল্লাশির নামে সাধারণ ও নির্দোষ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পুলিশের মারে জখম হয়েছেন অন্তত আট জন। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। জখমদের রাতেই উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বর্তমানে তাঁরা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। মারধরের পাশাপাশি বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাসন্তীর এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের যুব ও মাদার গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ রয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটেও প্রার্থীপদ দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। মূলত সেই কারণেই সোমবার রাতে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এলাকার দখল কাদের হাতে থাকবে তা নিয়েই তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক মহিলা জানান, “রাতে তৃণমূলের দুটি দলের মধ্যে লড়াই বেঁধেছিল এলাকায়। যথেষ্ট বোমাও পড়ে। আমরা আতঙ্কে বাড়ির ভিতরেই ছিলাম। গ্রাম থেকেই কেউ খবর দেয় পুলিশে। কিন্তু পুলিশ এসে আসল দুষ্কৃতীদের না ধরে আমাদের মতো সাধারণ গ্রামবাসীদের ওপর চড়াও হয়। বাড়িতে ঢুকে মারধর করে। আমাকে ও আমার বাড়ির লোকদের ওপরও লাঠি চালানো হয়েছে। আমরা বারবার বলেছিলাম যে আমাদের কেউ ওই বোমাবাজির সঙ্গে যুক্ত নই। কিন্তু পুলিশ শোনেনি। পরে শুনলাম বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের মারেই তাঁরা জখম হয়েছেন।”
যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বাসন্তীর এক তৃণমূল নেতা এই বিষয়ে জানান, “ওই এলাকায় বোমাবাজির কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। আর যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর রটানো হয়েছে তা ভুয়ো। বিরোধী দলগুলি আমাদের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে ভোটের আগে। বাসন্তী এলাকায় তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।”
কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগেই এই কাঁঠালবেরিয়া এলাকাতেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় দুজন যুব তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হয়।