পার্থসারথি সেনগুপ্ত

বর্ষা চলে এলেও এখনও ভ্যাপসা গরমে বিরাম নেই। তাই শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় লাল ফিতের ফাঁস খোলার জোরদার চেষ্টায় ব্যারাকপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর অফ রেশনিংয়ের অফিস। দফতরে দরকার খানকতক এসি মেশিন। তীব্র গরমে আর ফ্যানের হাওয়ায় স্বস্তিতে থাকা যাচ্ছে না। কর্মীরা ঘেমেনেয়ে একসা হচ্ছেন।

কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়ছেন বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে এসি-র জন্য চলছে আবেদন নিবেদনের পালা। কিন্তু অফিসে খোদ ডেপুটি ডিরেক্টরের ঘরেও এসি-র ব্যবস্থা নেই। সরকারি সূত্রে খবর, এর প্রয়োজন নিয়ে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের আপত্তি নেই। কিন্তু বাদ সেধেছে খরচের অঙ্ক।

CESC : দফায় দফায় লোডশেডিং! CESC কর্তাদের ডেকে বিদ্যুৎমন্ত্রী বললেন, ‘…অভিযোগ যেন না আসে’
ব্যারাকপুরের এসএন ব্যানার্জি রোডের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ের তিনতলার দফতেরে উপরেই ছাদ। গরমের বহর বেশি। গত ২৪ মে মির্জা গালিব স্ট্রিটে খাদ্য সরবরাহ দফতরে ডিরেক্টরেট অফ রেশনিংয়ের অধিকর্তাকে চিঠি লিখে ১১টি এসি মেশিন বসানোর অনুমোদন চান ডেপুটি ডিরেক্টর। পূর্ত দফতরের উত্তর ২৪ পরগনার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিক্যাল ডিভিশন)-এর খরচ বাবদ অতীতে ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৬০ টাকার একটি হিসেবও দেন তিনি। সেই হিসেব অনুযায়ীই এই বাজেটই পেশ করেছে ডেপুটি ডিরেক্টর অফ রেশনিংয়ের অফিস।

Rain In Kolkata : সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা, সারাদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি?
কিন্তু সরকারি সূত্রে খবর, বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের মতে, ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৬০ টাকার হিসেবটা একটু বেশি। তা কিছুটা কম হলেই ভালো হতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ ব্যাপারে ডেপুটি ডিরেক্টরের অফিসের তরফে পূর্ত কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। পূর্ত-স্থপতিরা জানিয়েছেন, অফিসের আয়তন অনুযায়ী এসি মেশিনের সংখ্যা কমানো যাবে না। কারণ, তা হলে ঘর ঠান্ডা হবে না।

অথচ বিভাগীয় কর্তাদের মতে, ওই ভবনেই তফসিলি জাতি-উপজাতি উন্নয়নের অফিস, আরটিও, ভূমি-সহ বিভিন্ন দফতর আছে। সব অফিস শীততাপ নিয়ন্ত্রিতও নয়। সেখানেও তো কর্মীরা কাজ করছেন। তা হলে ডিরেক্টর অফ রেশনিং-এ সমস্যা কেন!

Kolkata Weather : ৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়! কলকাতা সহ একাধিক জেলা ঝেঁপে বৃষ্টির পূর্বাভাস
এ ব্যাপারে বিজেপি সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “সরকার ডিএ না দিক, এই গরমে কর্মীদের একটু স্বস্তি অন্তত দিক। ওই অফিসে আমাদের সংগঠন ছাড়াও অন্য কর্মী সংগঠনের সমর্থকরাও আছেন। সরকারের কাছে আর্জি, শরীর-স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এসির টাকাটা দয়া করে অনুমোদন করা হোক।” ডিরেক্টর সুমন কুমার ঘোষ অবশ্য জানান, নানা দিক ভেবেই সরকারি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এসির প্রস্তাবও বিবেচনাধীন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version