এই সময়: রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের পিছোচ্ছে। সাড়ে ন’বছর ধরে থমকে এই নিয়োগ। ২০২০-র ১১ ডিসেম্বর প্রথম দফার প্যানেলে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে তা খারিজ করেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। নতুন ভাবে নথি যাচাই ও ইন্টারভিউয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

দ্বিতীয় দফায় ২০২১-এ ইন্টারভিউ চলাকালীন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করেন। সেই রায় অপছন্দ হওয়ায়, তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। সে বছর ২০ জুলাই বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চও এই নিয়োগ মামলায় প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের নির্দেশ দেন।

Recruitment Scam : বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা রাজ্যের
তারপর নানা সময়ে তাঁর বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। গরমের ছুটির পর হাইকোর্ট খুললে সোমবার উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলাটি ওঠে। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানান, আর দু’সপ্তাহ তিনি থাকবেন।

Kaliyaganj Case : সিটে প্রাক্তন আইপিএস! কালিয়াগঞ্জেকাণ্ডে স্থগিতাদেশ
এ বছরের ১৮ ও ১৯ মে মামলাটির শুনানি হয়েছিল। কথা ছিল, গ্রীষ্মাবকাশের পর প্যানেল আপলোড করার ব্যাপারে শুনানি হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকরা জানান, এ মাসের শেষে অবসর নেবেন বিচারপতি। তাই এই মামলায় কোনও অর্ডার (নির্দেশ) তিনি দেবেন না।

জুলাইয়ে নতুন রেগুলার বেঞ্চ তৈরি হলে, সেখানে শুনানি হবে। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের তরফে সুশান্ত ঘোষ জানান, এই পরিস্থিতিতে তাঁরা হতাশ। রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং আদালতের দীর্ঘসূত্রিতায় অনেক প্রার্থীই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন।

Calcutta High Court : হাইকোর্টে এবার প্রশ্নের মুখে ভিসি সার্চ কমিটি’র অর্ডিন্যান্স
সংশ্লিষ্ট সকলে আপাতত পরবর্তী বিচারপতির দিকে তাকিয়ে। আইনজীবীদের একাংশের মতে, নতুন বিচারপতি এলে তিনি গোটা বিষয়টি শুনবেন ও সব খতিয়ে দেখে রায় দেবেন। এ দিকে, অবিলম্বে যোগ্য প্রার্থীদের স্কুলে নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবিতে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে ধরনা মঙ্গলবার ২০০ দিনে পড়ল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version