প্রদ্যুৎ দাস: জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। জলপাইগুড়িতে সুধা তন্ত্রের বাড়িতে প্রশাসন। চাল, বিস্কুট-সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হল তাঁকে। ফোনে খোঁজখবর নিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ও।
ঘটনাটি ঠিক কী? জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা সুধা। সঙ্গে থাকেন একমাত্র ছেলে। তিনি আবার প্রতিবন্ধী! বাবা-ছেলে যেখানে থাকেন, সেখান থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে পঞ্চায়েত অফিস। অথচ ৩০ বছর ধরে নেই রাজ্যের বাসিন্দা সুধা! আধার কার্ড আছে, আর কিছুই নেই। ঘরে নেই. শৌচাগার নেই, এমনকী নেই পানীয় জলও।
হোগলা পাতার ছাউনিতে দিন কাটে সুধা আর তাঁর ছেলের। বৃষ্টি হলে পলিথিনের ছাদ থেকে জল পড়ে! পরিস্থিতি এমনই যে, যদি জানতে চাওয়া হয়, কী চান, তাহলে এই মুহূর্তে কোনও জরুরি, সেটাও বুঝে উঠতে পারেননি ওই মহিলা! কেন? সুধার করুণ অবস্থার খবর সম্প্রচারিত হয় জি ২৪ ঘণ্টায়।
আরও পড়ুন: Purulia: রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল, দোসর পানীয় জলের সংকট…
প্রতিবেশীর এই অবস্থায় লজ্জিত গ্রামের বাসিন্দারাও। তাঁদের আক্ষেপ, ‘খারাপ তো লাগেই। কিন্তু আমার আর কী করতে পারি! সব মিলে যদি একটু সাহায্য করে, তাহলে ভালোই হয়। কিন্তু কেউ তো সাহায্য করে না’। অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের।