দোলতলা সংলগ্ন যশোর রোডের ধারেই সৃজন মিডল্যান্ডস। বহুতল আবাসনটি মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। আবাসনের ১৫টি ব্লকে প্রায় সাড়ে সাতশো পরিবার বাস। আবাসনের ভিতরে সমস্ত ড্রেন ঢাকা। তবুও গত একমাসে এই আবাসনেই ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়েছে। আবাসনের লাগোয়া একটি নির্মীয়মাণ বহুতল রয়েছে। সেখানেই যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাত্রে ও গর্তে জমা জল থেকেই ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়ায় বলে অভিযোগ। প্রথমে সৃজন মিডল্যান্ডসের ১১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দাদের কয়েকজন আক্রান্ত হন ডেঙ্গিতে। পরে গোটা ব্লক জুড়েই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। শুধু তাই নয়, দেখা যায়, নির্মীয়মাণ পাশের বহুতলে কয়েক জন শ্রমিকও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
সৃজন মিডল্যান্ডসের কয়েক জন ইতিমধ্যে সুস্থ হলেও এখনও সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১১। এর মধ্যে শিশুও আছে। স্বাভাবিক ভাবেই, আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। দিনে-রাতে মশারি ব্যবহার করছেন তাঁরা। ভয়ে আবাসনের কয়েক জন অন্যত্র আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়েও আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাসিন্দাদের কাছ থেকে ডেঙ্গির প্রকোপের খবর পেয়েই আবাসনে আসেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ-সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। জমা জলের উৎসস্থানগুলি ঘুরে দেখেছেন তাঁরা। নির্মীয়মাণ বহুতলের জমা জল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উদ্বেগ কাটছে না বাসিন্দাদের। এখনও যে ১১ জন আক্রান্ত রয়েছেন।
সৃজন মিডল্যান্ডসের বাসিন্দা তন্ময় দাস বলেন, ‘আমাদের আবাসনে জমা জলের সমস্যা নেই। পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলের জমা জল থেকেই ডেঙ্গি ছড়িয়েছে বলেই পুরসভার পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধানের দাবি করছি। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য দপ্তর হস্তক্ষেপ করুক।’
এই প্রসঙ্গে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরসভার টিম নিয়ে আবাসনের ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলের কয়েকটি পকেটে জমা জল ছিল। সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত ফলোআপ রাখা হচ্ছে।’