বিজেপির অভিযোগ, প্রভাবিত করতে গরিব মানুষকে বেআইনিভাবে টাকা বিতরণ করা হচ্ছে, জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করছে না নির্বাচন কমিশন। বিজেপির অভিযোগ, ভোটারদের অ্যাকাউন্টে এক হাজার টাকা করে পাঠানো হচ্ছে। ভোটের স্বার্থে কোন স্বার্থে টাকা পাঠানো হচ্ছে? প্রশ্ন বিজেপি নেতা-কর্মীদের।
বৃহস্পতিবার প্ল্যাকার্ড হাতে কোদালিয়ার নলডাঙায় জিটি রোডের উপর বসে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জিটি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। তৈরি হয় ব্যাপক যানযট। কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর ব্যান্ডেল ফাঁড়ির গিয়ে বিক্ষোভরত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অবরোধ তুলে দেয়।
হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোদালিয়ার ১১৯ নম্বর বুথে বেআইনিভাবে বেশ কিছু গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে। বিডিও এবং নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকে গোটা বিষয়টির তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে। ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে যাবার পরেও তার কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, বেকার-ভাতার টাকা বলে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ১১৯ নম্বরের তৃণমূল প্রার্থীর অনুগামী সৌরভ হাজরার অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা যাচ্ছে। এই টাকা কোন সরকারি টাকা নয়। ওই আসনে শাসক দলের হয়ে যিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার মনোনয়ন বাতিল করা না হলে আগামী দিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। এতদিন টাকা লুঠ করেছে। এখন মানুষের মন জেতার চেষ্টা চলছে।’
যদিও বিজেপির তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চুঁচুড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বিজেপি পাগল ছাগল বলে এসব বলছে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতার টাকা কখনও যাওয়া সম্ভব! মানুষের হয়ে কাজ করতে হয় ঘুমোলে হয় না। আর ভোট এলেই পরিযায়ী পাখির মত আসবে তারা কি করে জানবে। নির্বাচন এসছে তাই শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। যে নোংরামি হচ্ছে, মানুষ তার জবাব দেবে নিশ্চয়ই।’