তৃণমূল প্রার্থীর ফেস্টুনে লেখা ‘চোর’। আর তাই নিয়েই চাঞ্চল্য হাওড়া জেলার রাজনীতিতে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও পুলিশ তদন্ত করছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে যার ছবি ‘চোর’ লেখা হয়েছে, তিনি অবশ্য বিষটিতে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

Panchayat Election 2023 : করিমপন্থী নির্দল প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তুমুল উত্তেজনা ইসলামপুরে
আর কয়েকদিন পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই মতো জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছেন শাসক ও বিরোধী দলের প্রার্থীরা। চলছে দেওয়ার লিখন। সঙ্গে বিভিন্ন জায়হায় লাগাত হচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার, ফেস্টুন, হোর্ডিং, ফ্লেক্ল। তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারে ব্যবহৃত তেমনই একটি ফেস্টুনে এবার লেখা হল ‘চোর’। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের বাঁকড়া এলাকায়।

WB Panchayat Election : দোতলা বাড়ি থেকে পঞ্চাশ বিঘা জমির মালিক! তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার পান্ডুয়ায়
হাওড়ার বাঁকরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৮ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারে লাগান হয় ফেস্টুন। তাতে লেখা ছিল রুপালি বেগম, নাজিয়া খাতুন ও সামসুল আলম তরফদারের নাম। গ্রাম সভায় দাঁড়িয়েছেন রুপালি। নাজিয়া লড়ছেন পঞ্চায়েত সমিতিতে। আর জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন সামসুল আলম তরফদার। ফেস্টুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও দেওয়া হয় আরও দু’জনের ছবি। সেগুলির মধ্যে একটি ছবি সামসুল আলম তরফদারের।

Panchayat Vote 2023: ৪৩ বছরের মৌনব্রত, ভোট চাইতে বেরিয়ে ইশারাই সম্বল প্রার্থীর
রবিবার সকালে হঠাৎ দেখা যায় ফেস্টুনে সামসুল আলম তরফদার ছবিতে কে বা কারা কালি লাগিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর ছবির ওপর কালো কালি দিয়ে লেখা রয়েছে ‘চোর’। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকার রাজনৈতিকমহলে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা এখনও জানা যায়নি।

Adhir Chwodhury: ‘বকরি ইদের পর বোমা-পিস্তল নিয়ে নামবো’!

এই প্রসঙ্গে খোদ সামসুল আলম তরফদার বলছেন, ‘প্রচার তুঙ্গে আছে। পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে প্রচার কী ভাবে চলছে, কোনও অসুবিধা নেই। কিছু নিন্দুক থাকে, যাদের ভালটা সহ্য হয় না। আসলে আমরা চোরই, আমি ক্যামেরাতে স্বিকার করে নিচ্ছি। আমরা চোর, আমরা মানুষের মন চুরি করতে বের হয়েছি। এখানে বিরোধী শূন্য এলাকা। তারপরেও কিছু লোক আছে, যাদের ২০২১-এ দল বাদ দিয়েছে। এবারে তারা পঞ্চায়েতে দাঁড়াতে পারেনি। হয়ত এইরকম কোনও ব্যক্তি হলেও হতে পারে।’

অন্যদিকে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘কে বা কারা, কোনও দুষ্কৃীতার রাত্রিবেলা এইরমক কাজ করেছে। বিরোধীদলের তরফ থেকে হয়ত এইরকম করে থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে, যা উপযুক্ত ব্যবস্থা, তারা গ্রহণ করবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version