এদিন তিনি তোপ দেগে বলেন, “বউ টাকা পাচার করেন ব্যাঙ্ককে, সোনা পাচার করেন কলকাতায়। শ্যালিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লন্ডনে। বাবা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর। মা’ও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর। একসঙ্গে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে নিয়ে এবার ভিতরে যাবেন। পাটনাতে তো গোরুচোর গোখাদ্য চোর লালুপ্রসাদের আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন।”
এদিন তিনি আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বলেন, “২০১১ সালে মমতা বলেছিলেন, আমার কোনও পরিবার নেই। দলই আমার পরিবার। কত বড় মিথ্যাবাদী! সেদিন যদি উনি বলতেন ভাইপোকে নেতা বানাবো তাহলে ওর সঙ্গে আপনারা থাকতেন? আমি থাকতাম না। এখন বলছেন ভাইপো ২ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করে।”
শুভেন্দু এদিন কথা বলেছেন ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা ঘিরে অশান্তি নিয়েও। তিনি ভাঙড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ও তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে সাদা পতাকা ও সাদা পায়রা নিয়ে গ্ৰামে গ্ৰামে মিছিল করার পরামর্শ দেন। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় জনসভায় এসে নওশাদ সিদ্দিকী ও শওকত মোল্লার সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে একথা বললেন বিরোধী দলনেতা।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন জাঙ্গিপাড়ার সভামঞ্চ থেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই উদ্যোগটা ভালো। তবে দুজনে যদি ভাঙড়ের গ্ৰামে গ্ৰামে গিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন তাহলে ভালো হয়। ঠাণ্ডা ঘরে বসে, নিরাপদ জায়গায় বসে এটা করবেন না কারণ দু’পক্ষের লোকই মারা গিয়েছেন। সব গরিব মানুষ।”
সেই সঙ্গে দুই বিধায়ককে পরামর্শ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “আমি বলব দু’পক্ষের পতাকা সরিয়ে দিয়ে দু’পক্ষই ভাঙরের গ্রামে গ্ৰামে গিয়ে সাদা পতাকা নিয়ে শান্তি মিছিল করুন। আর কিছু সাদা পায়রা নিয়ে যান, মাঝেমধ্যে ওড়াতে ওড়াতে যাবেন।”
এছাড়াও শুভেন্দু এদিন আরামবাগ মহকুমার পুড়শুড়ার পশ্চিমপাড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে জনসভা করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ডোমকলে CPIM ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে কটাক্ষ করেন। বলেন, “রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস, গুলি, বোমা চলছে। কংগ্রেস ও CPIM নেতা রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরি যোগাযোগ করুন। পাটনায় শান্তি চুক্তির পরেও কেন বোমা গুলি চলছে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য।”
সবমিলিয়ে এদিন দুই জায়গাতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভাকে ঘিরে BJP কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।