তাপস প্রামাণিক
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই গ্রামে যাতে ডেঙ্গি মাথাচড়া দিয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। গ্রামে ডেঙ্গি রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রত্যেক জেলাশাসককে সোমবার আলাদা করে চিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, এবার পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বর্ষা নেমে যাওয়ায় কিছুটা চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। একটা সময় পর্যন্ত ডেঙ্গি মূলত শহরের মানুষের সমস্যা ছিল।

Dengue Fever: বর্ষা আসতে না আসতেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
কিন্তু গ্রামের জীবনযাত্রা পাল্টে যাওয়ায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। অনেক মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। সেটা হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীরা ভোটের ইস্যু করতে পারে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে গ্রামকেই সবার আগে পাখির চোখ করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তার জন্যই জেলা প্রশাসনকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

KMC: ডেঙ্গি মোকাবিলায় কড়া দাওয়াই পুরসভার, ১ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হল বাড়ি মালিককে
জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গ্রামের দিকে কোথাও ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর তৈরি হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে নজর রাখতে প্রতি সপ্তাহে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালাতে হবে। তা থেকে যে তথ্য উঠে আসবে, সেটাকে বিশ্লেষণ করে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত রণনীতি তৈরি করবে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন। মূলত ব্লক মেডিক্যাল হেলথ অফিসাররাই সেই দায়িত্ব পালন করবেন। কোথাও ডেঙ্গির সম্ভাবনা থাকলেই স্থানীয় ব্লক আধিকারিক এবং চেয়ারপার্সনের নজরে আনবেন তিনি।

Dengue Kolkata : মধ্যমগ্রামের আবাসনে ৩৭ জন বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত, বর্ষার মুখে বাড়ছে উদ্বেগ
ডেঙ্গি মোকাবিলায় গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রতি ১৫ দিন অন্তর একটি করে সমন্বয় বৈঠক করতে বলা হয়েছে। তাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি আধিকারিকরা অংশ নেবেন। একই ভাবে ১৫ দিন অন্তর জেলা স্তরেও ডিস্ট্রিক্ট লেবেল মনিটরিং কমিটির মিটিং ডাকতে হবে। তাতে পৌরহিত্য করবেন খোদ জেলাশাসক। সেই বৈঠকে স্বাস্থ্য, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, পুর ও নগরোন্নয়ন, মৎস্য, সেচ, পূর্ত, যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া, সমাজকল্যাণ সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা হাজির থাকবেন।

Panchayat Election 2023 : ভোটের দেওয়াল লেখার ব্যস্ততা তুঙ্গে, স্বাস্থ্য-লোগো আঁকবে কে!
স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ, পয়লা জুলাই থেকেই গ্রামের দিকে যে সব পুকুর, খাল, বিল ও জলাশয় রয়েছে সেখানে গাপ্পি মাছ ছাড়ার ব্যবস্থা করবে মৎস্য দপ্তর। গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজে জনপ্রতিনিধি ছাড়াও বাজার সমিতি, প্রোমোটার, হাউসিং সোসাইটি, পুজো কমিটি এবং ক্লাব সংগঠনের কর্মকর্তাদের সাহায্য নিতে বলা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version