জানা গিয়েছে, খড়দহের বাসিন্দা অজয় সিং ভাদুড়িয়ার ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আদিত্য সিং ভাদুড়িয়ার আঙুল কাটা গিয়েছে। অজয় বাবু অভিযোগ করে বলেন, “শনিবার স্কুলে গিয়ে এক সহপাঠীর সঙ্গে খেলতে গিয়ে দরজায় কড়া বা ধারালো কিছুতে লেগে আমার ছেলের আঙুলটি কেটে পড়ে যায়। তখন স্কুলে সামান্য ব্যান্ডেজ করে তাঁকে হেড ম্যাম নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। পাশেই আর্মি হাসপাতাল ও একটু দূরে বি এন বোস হাসপাতাল থাকলেও আদিত্যকে সেখানে নিয়ে যায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। উপরন্তু অনেক রক্তপাত হওয়াতে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে কান্নাকাটি করতে থাকায় তাকে ঝুমা ম্যাম নামের এক শিক্ষিকা বকাঝকা করেন বলে আদিত্য খোদ আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে।”
আদিত্যর বাবা আরও বলেন, “আমার স্ত্রীকে স্কুল থেকে প্রায় আধঘণ্টা পরে খবর দেওয়া হয়। তাঁর যেতে এবং ছেলেকে নিয়ে বি এন বোস হাসপাতালে যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এবং আমাদের প্রথমে বলাই হয়নি যে আমার ছেলের আঙুল কেটে শরীর থেকে বাদ চলে গিয়েছে।”
অজয় বাবুর দাবি, যদি প্রথম থেকে তাঁদের বলা হত এবং সঙ্গে সঙ্গে কাটা আঙুল নিয়ে হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে যেতেন শিক্ষিকারা, তবে আঙুলটি জোড়া লাগানো যেত। বিদ্যালয়ের হেড ম্যাম সহ স্কুল কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতিতে তাঁর ছেলের আঙুলটি চিরতরে বাদ চলে গেল বলে অভিযোগ করছেন তিনি। শিক্ষিকাদের এই চরম গাফিলতি ও উদাসীনতায় সর্বত্রই নিন্দার ঝড় উঠেছে।
স্কুলের এই ভূমিকা নিয়ে এদিন স্কুলের সব অভিভাবকেরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখান। বিদ্যালয়ের কেউই এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও জানানো হয়েছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে অন্য এক অভিভাবক বলেন, “এই খবর শুনে আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। আদিত্যর সঙ্গে যেটা হয়েছে সেটা যে কোনোদিন আমাদের সন্তানদের সঙ্গেও হতে পারে। তাই দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে আজ বিক্ষোভে সামিল হয়েছি।”